নেত্রকোনার ৯ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে গত দুদিনে ৮৫ হাজার ১৭ জন মানুষ বাড়ি ফিরেছেন। ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে যাওয়ায় শনিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার (২৭ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়েছেন।
Advertisement
তবে জেলার ২৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো ২৪ হাজার ৫১৮ জন অবস্থান করছেন। এরমধ্যে ২ হাজার ৯০৬ জন শিশু ও ২০৯ জন প্রতিবন্ধী।
সোমবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, জেলায় বন্যাপরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। কিছু নিম্নাঞ্চল ছাড়া অন্য এলাকায় পানি নেমে যাওয়ায় গত দুইদিনে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘরে ফিরেছেন। যাদের বাড়িঘরে এখনো বন্যার পানি রয়েছে বা বন্যায় বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেসব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন।
Advertisement
তিনি বলেন, বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৫৯ দশমিক ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৬ হাজার ৩৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহনলাল সৈকত বলেন, জেলার কংস, সোমেশ্বরী, উব্দাখালি, ধনুসহ ছোটবড় সব নদ-নদীর পানি গত তিনদিন ধরে দ্রুত কমছে। তবে উব্দাখালি নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ও ধনু নদের খালিয়াজুরি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, দুর্গাপুর উপজেলার কিছু এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, বন্যার পানি কমলেও উপজেলার অধিকাংশ এলাকার গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে। যেসব সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে সেগুলো স্থানে স্থানে বিধ্বস্ত। দুর্গাপুরের গাঁকান্দিয়া ইউনিয়নে এখন বন্যার পানি নেমে গেলেও সমস্ত রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা। সোমেশ্বরী নদীর তীরে অবস্থিত গাঁকান্দিয়া সড়কটির স্থানে স্থানে গর্ত।
স্থানীয়রা জানান, গত ১৭ জুন সকালে পাহাড়ি ঢলে সোমেশ্বরী নদী উপচে গাওকান্দিয়া সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। পানির চাপে সড়ক ভেঙে শতশত বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেক মানুষ এখন নিঃস্ব।
Advertisement
এইচ এম কামাল/এমআরআর/জিকেএস