বরগুনা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির জন্য মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রম বুধবার (৬ জুলাই) বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৫৮ ছাত্রলীগ নেতা। শুক্রবার (৮ জুলাই) পর্যন্ত ফরম জমা নেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার (৪ জুলাই) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুর রশিদ আল রাফি বরগুনায় এসে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রি উদ্বোধন করেন। শুধু ওইদিনই জেলার ছাত্রলীগ সদস্যদের মধ্য থেকে সভাপতি পদে ২২ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২৬ জন ফরম সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে সভাপতি পদে আরও আটজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে আরও দুজন সংগ্রহ করেন।
সাংগঠনিকভাবে বরগুনায় মনোনয়ন ফরম বিক্রির দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুর রশিদ আল রাফি জাগো নিউজকে জানান, বুধবার পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম দিয়েছিলেন তিনি।
তার মতে, কমিটি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে থাকায় নতুনরা জায়গা পাচ্ছিল না। তবে জেলায় ছাত্রলীগ কর্মী তৈরি হয়েছে অনেক। তাই সুযোগ আসায় সবাই নিজেকে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে দেখতে চান।
তবে তিনি আরও জানান, ফরম সংগ্রহ মানেই সভাপতি বা সম্পাদক হয়ে যাওয়া নয়। শুক্রবার পর্যন্ত ফরম জমা হবে। এরপর এসব ফরমগুলো কেন্দ্রের সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে দেওয়া হবে জমা। সবকিছু বিবেচনায় কে সভাপতি ও সম্পাদক হবেন তা কেন্দ্র থেকে নির্ধারণ করবে।
সভাপতি পদপ্রার্থী ছাত্রলীগ নেতা রিসাদ হাসান প্রিন্স জাগো নিউজকে বলেন, কর্মী নয়, নেতা হতে চায় সবাই। তবে অবশ্যই কেন্দ্রের নেতারা বিবেচনা করবে- কে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আর সে বিবেচনায় সভাপতি হিসেবে নিজের অবস্থান শক্ত বলেও দাবি করেন প্রিন্স।
সভাপতি পদের আগ্রহী প্রার্থী সবুজ মোল্লা জাগো নিউজকে জানান, যারা যারা ছাত্রলীগের সিভি সংগ্রহ করেছে, প্রত্যেকেই দলের জন্য কাজ করেছেন। অনেক ত্যাগ, শ্রম রয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক জাগো নিউজকে জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন করে ছাত্রলীগের সম্মেলনে নতুন কমিটির ঘোষণা পাননি তারাও। তবে এবার সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা হবে নতুন কমিটি। তাই পদ প্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতাদের আগ্রহ আর উৎসাহ অনেক বেশি।
২০১৪ সালে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সবশেষ কমিটি হয়। আর সেই কমিটি এখন পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।
এম এ আজীম/এমআইএইচএস/জেডএইচ/জিকেএস