দেশজুড়ে

সুনামগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের টিন-টাকা দিচ্ছে সেনাবাহিনী

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে গত ১৬ জুন ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। সেই বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েন জেলার ১২ উপজেলার ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ। বন্যার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্নভাবে বানভাসি মানুষের পাশে থেকে সহায়তা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

কখনো কোমর কিংবা গলা অবধি পানিতে নেমে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বন্যার্তদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। আবার কখনো পানিতে নেমে কাঁধে ত্রাণ নিয়ে বানভাসিদের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন সেনা সদস্যরা।

বর্তমানে পরিস্থিতি উন্নতি হলেও এর বন্যার তাণ্ডবে সুনামগঞ্জের রাস্তাঘাট ও বানভাসি মানুষের ঘরবাড়ি তছনছ হয়ে গেছে। তাই সোমবার (১৮ জুলাই) সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ উপজেলায় বন্যায় ঘরবাড়ি হারানো ৬০ জন মানুষকে পুনর্বাসনের জন্য টিনসহ নগদ অর্থ দিয়েছে সেনাবাহিনী। দেওয়া হয়েছে নতুন কাপড়ও। এমনকি বন্যাদুর্গতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। যা এরই মধ্যে নজর কেড়েছে সুনামগঞ্জের মানুষের।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা জানান, সেনাবাহিনীর এ ঋণ শোধ করার মতো না। বন্যার শুরু থেকে তারা বানভাসিদের সহযোগিতা করছে। এখন বন্যার পানি নেমে গেছে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত ঘর নির্মাণের জন্য টিনসহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়েছেন সেনা সদস্যরা।

সিলেটের ১৭ পদাতিক ডিভিশন জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল হামিদুল হক বলেন, সেনাবাহিনী শুরু থেকে বন্যাদুর্গত মানুষকে সহায়তা করছে। বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনী বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে আছে।

লিপসন আহমেদ/এসজে/এএসএম