খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবনী আক্তার (৪০) ও কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের (২৩) মরদেহ জানাজা শেষে নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে মাগুরার শ্রীপুর সদর ইউনিয়নের সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে প্রথম জানাজা এবং পরে নিজ বাড়ি কাদিরপাড়া ইউনিয়নের বরালিদহ গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাত পৌনে ১১টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে লাবনী আক্তারকে দাফন করা হয়।
এরআগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ সারঙ্গদিয়া গ্রামে আনা হয়।
অন্যদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানকে।
বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রাম থেকে এডিসি খন্দকার লাবনী আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকালে ওড়না পেঁচানো মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন পরিবারের সদস্যরা। পরে সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
খন্দকার লাবনী খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এডিসি পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামের খন্দকার শফিকুল আজমের মেয়ে।
পারিবারিক অশান্তির কারণে ছুটিতে এসে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (এডি) হিসেবে কর্মরত। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ভারতে চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে একইদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মাগুরা পুলিশ লাইনস ব্যারাকের ছাদ থেকে কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, রাতের ডিউটি থেকে ফিরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন কনস্টেবল মাহামুদুল হাসান।
তার বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। তিনি দেড়মাস আগে মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন। এরআগে তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এসআর/জিকেএস