পরিচয় গোপন করতে কখনো সবজি বিক্রেতা, ভ্যান-রিক্সা চালক আবার কখনো হোটেল কর্মচারী হিসাবে কাজ করেছেন। এক জায়গায় বেশি দিন থাকেননি। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হলো না। সাত বছর পর র্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন মানিকগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ইদ্রিস আলী হত্যা মামলার মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নজরুল ইসলাম (৪২)।
রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে র্যাব-৪ মানিকগঞ্জ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলামের গ্রেফতারের বিষয়টি জানান লে. কমান্ডার আরিফুর রহমান।
তিনি বলেন, শনিবার (৩০ জুলাই) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার এড়াতে তিনি সাভার, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিলেন। পরিচয় গোপন করতে ঘন ঘন পেশা বদলাতেন। কখনও সবজি বিক্রিতা, রিকশা চালক, হোটেল কর্মচারীসহ বিভিন্ন পেশায় কাজ করেছেন।
লে. কমান্ডার আরিফুর রহমান আরও জানান, ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর হরিরামপুর উপজেলার কদমতলি গ্রামের রিকশা চালক ইদ্রিস আলী খুন হন। স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার তাকে প্রথমে গলায় নাইলনের রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর জবাই করা হয়।
এ মামলায় ২০১৬ সালে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ইদ্রিসের স্ত্রী সেলিনা আক্তার ও পরকীয়া প্রেমিক নজরুল ইসলামকে মৃত্যদণ্ড দেন।
গ্রেফতার নজরুল ইসলামকে হরিরামপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
বি এম খোরশেদ/এএইচ/জিকেএস