দেশজুড়ে

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম মূলধারার নয়, দাবি এমপির

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীর বরখাস্তসহ বিচারের দাবি জানিয়েছেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। সোমবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় বরগুনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ দাবি জানান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের গাড়ি ভাঙার বিচার ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলার পরও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলী তার কথার কোনো তোয়াক্কা করেননি এবং তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন।

লাঠিচার্জের ঘটনাটি পুলিশের পরিকল্পিত দাবি করে তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলী মূল ধারার বাইরের লোক, তাই ছাত্রলীগ সদস্যদের পিটিয়েছেন।

এরই মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বরখাস্ত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজিকে বলেছেন বলেও জানান তিনি।

এ সময় ছাত্রলীগের বর্তমান গ্রুপিং ও দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সম্প্রতি ঘোষণা করা কমিটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগকে তোয়াক্কা না করে, কাউন্সিল না করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ইচ্ছামতো কমিটি দেওয়ায় বর্তমান গ্রুপিং তৈরি হয়েছে এবং এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়েও তিনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানান।

১৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এছাড়া শিল্পকলা একাডেমি ভবনে আটকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পেটায় পুলিশ।

এর আগে দীর্ঘ আট বছর পর গত ১৭ জুলাই বরগুনা শহরের সিরাজ উদ্দীন টাউন হল মিলনায়তনে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন।

এতে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই সদ্য ঘোষিত এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে পদবঞ্চিতরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

এফএ/এমএস