দেশজুড়ে

২৩ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া

ইটের সলিং করা হয়েছিলো ১৯৯৯ সালে। এরপর ২৩ বছর কেটে গেলেও লাগেনি কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া। এর ওপর দিয়েই যাতায়াত ৪ গ্রামের মানুষের। ফলে ইটগুলো এলোমেলো হয়ে খানা-খন্দকে ভরে গেছে প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তাটি। এখন এতটাই নাজুক অবস্থা যে এ পথে হেঁটে চলাও মুশকিল।

সদর উপজেলার দক্ষিণ পাঞ্জিপুথিপাড়া গ্রাম হয়ে কির্ত্তিপাশা সংযোগ সড়কটির এমনই বর্ণনা দিলেন ওই এলাকার মো. হারুন। তিনি জানান, সদর উপজেলার বাসন্ডা ব্রিজের পশ্চিম ঢাল দিয়ে নেছারাবাদ ইসলামী কমপ্লেক্স হয়ে সামনেই বাসন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ। এরপর পিপলিতা বাজার থেকে কেওড়া ইউনিয়ন হয়ে কিছুদূর সামনে গেলেই কির্ত্তিপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাঞ্জিপুথিপাড়া থেকে পাঞ্জিপুথিপাড়া দিয়ে শতবর্ষী বাউকাঠি হাট। দক্ষিণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী পেয়ারারাজ্যেও এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। এ সড়কের দক্ষিণ পাঞ্জিপুথিপাড়া থেকে কির্ত্তিপাশা যেতে একটি সংযোগ সড়ক রয়েছে। আলীপুর, শশাংক, রমনাথ ও নাপিতবাড়ি গ্রামের মানুষ দীর্ঘবছর কাদামাটি পার হয়ে চলাচল করছে।

এলাকাবাসীর অনুরোধে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ১৯৯৯ সালের দিকে ইটের সলিং রাস্তা নির্মাণ করা হয়। সেই ইটের সলিংয়ের পরে আর কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এর মাঝে এ সড়কের আশপাশে শতাধিক পাকা ভবন উঠেছে। ভবনের নির্মাণ সামগ্রী বহনে রাস্তাটি একেবারে খাদে পরিণত হয়েছে।

সলিংয়ের ইট উঠে এখন এমন অবস্থা যে হেঁটেও চলা মুশকিল। রাস্তায় চলতে গেলে উঁচু-নিচু ইটে ধাক্কা লেগে পায়ের নখ উঠে যায়। পাশের ইটে শেওলা জন্মানোয় পাশ দিয়েও হাঁটা যাচ্ছে না।

পিপলিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র বাপ্পী খান জানায়, বাড়ি থেকে স্কুল অনেক দূরে। সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। শুকনো মৌসুমে যেকোনোভাবে চালিয়ে গেলেও বর্ষা মৌসুমে চলাচল করতে খুবই দুর্ভোগে পড়তে হয়। সাইকেল নিয়ে অনেকবার পড়ে আহত হয়েছে সে।

ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী প্রত্যেকেরই রয়েছে এমন দুর্ভোগের অভিজ্ঞতা।

এলাকাবাসী জানান, বর্তমান সরকার জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক। অনেক স্থানে লোকজনের চলাচল নেই, তবুও সেখানে রাস্তা সংস্কার হচ্ছে। পাকা সড়কও নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের জনগূরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির দিকে কেউ ফিরেও তাকায়নি।

স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. মেহেদী হাসান জানান, সড়ক উন্নয়নে এলজিইডির সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। বরাদ্দ আসলেই টেন্ডার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।

ঝালকাঠি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীন জানান, সদর উপজেলার দক্ষিণ পাঞ্জিপুথিপাড়া হয়ে কির্ত্তিপাশা সংযোগ সড়কটি অনেক পুরাতন। সেটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বরাদ্দ এলেই টেন্ডার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।

আতিকুর রহমান/এফএ/জেআইএম