গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ উঠেছে অমিত বিশ্বাস নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ওই স্কুলছাত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত অমিত বিশ্বাস উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম হাজরাবাড়ি গ্রামের বীরেন বিশ্বাসের ছেলে। ২৫ আগস্ট স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে অমিত ওই স্কুলছাত্রীর পথরোধ করে কুপ্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটে অমিত বিশ্বাস ওই স্কুল ছাত্রীর হাত ধরে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ওই স্কুলছাত্রীর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে অমিত পালিয়ে যান। ঘটনার পর ওই ছাত্রী আতঙ্কে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানায়, ‘আমি স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই অমিত বিশ্বাস আমাকে উত্ত্যক্ত করতো। সে আমাকে নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দিতো। রাজি না হওয়ায় আমাকে সে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।’
টিকরীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিনতীলতা মধু জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার দিন স্কুল ছুটির পর ওই ছাত্রী বাড়ি ফেরার পথে অমিত বিশ্বাস নামে এক যুবকের দ্বারা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়। ঘটনার পর ওই ছাত্রী আর স্কুলে আসছে না।
ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘ঘটনার পর আতঙ্কে আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অমল কৃষ্ণ সেন বিষয়টি মিটিংয়ে তুলবেন বলে দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই আমরা আইনের আশ্রয় নেইনি।’
তবে বখাটে অমিত বিশ্বাস বলেন, ‘আমি ওই মেয়েকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করিনি। আমি শুধু তার সঙ্গে কথা বলেছি।’
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অমল কৃষ্ণ সেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমি জেনেছি। এ নিয়ে দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আজ রাতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করে দেবো।
ভাঙ্গারহাট নৌ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ওমর শরীফ জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেহেদী হাসান/এসজে/এমএস