কক্সবাজারের রামুতে মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী বন বিভাগের বিশাল এলাকা দখল করে স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। একটি প্রভাবশালী মহল বন বিভাগের এসব জমি বিক্রি করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে পুরো এলাকায় তোলপাড় শুরু হলেও বন বিভাগের রহস্যজনক নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় জনতা।উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি চা বাগান ও পাহাড়িয়াপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে বন বিভাগের মূল্যবান এসব জমি জবর-দখলের পাশাপাশি এখানে থাকা বিপুল গাছও কেটে সাবাড় করেছে দখলবাজরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের পাশে বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে বন বিভাগের গাছপালা নিধনের দৃশ্য। গাছ কেটে সেই জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ৭-৮টি বসত বাড়ি। এরমধ্যে কয়েকটি বাড়ির কাজ এখনো অসমাপ্ত দেখা গেছে। সেখানেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। আবার একটি বাড়ি তৈরির পাশাপাশি বাড়িটির সামনে টিউবওয়েল স্থাপনের দৃশ্যও দেখা গেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই এলাকার বাসিন্দা মমতাজুল আলম চৌধুরী বন বিভাগের দুই একর জমি বিক্রি করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব জমি মমতাজুল আলম চৌধুরী ও তার কর্মচারী শাহ আলম আটজনকে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে বিক্রিত এসব জমিতে দোকান, টিনের বাড়িসহ আটটি স্থাপনা রয়েছে। চলছে আরও স্থাপনা তৈরির কাজ। জানা গেছে, ইতোপূর্বে বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় এলাকার প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা অসংখ্য ব্যক্তিকে বন বিভাগের জমি বিক্রি করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবু হান্নান সরকার বন বিভাগের বিশাল এলাকা জবর দখলের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, স্থানীয় মমতাজুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট কৌশলে এসব জমি লোকজনকে বিক্রি করে আসছে। সম্প্রতি এখানে কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণের খবর পেয়েছি। অতিসত্বর অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। অভিযুক্ত মমতাজুল আলম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের মতে এভাবে একের পর এক সরকারি বন ভূমি বেদখল হতে থাকলে ভবিষ্যতে বন বলতে কিছুই থাকবে না। তাই অতিসত্বর এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি মূল্যবান বনভূমি দখল করে জড়িত ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উত্তর) শাহ-ই-আলম জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সায়ীদ আলমগীর/এমজেড/এমএস