জামালপুরের মেলান্দহে বিয়ের দাবিতে তিনদিন ধরে অবস্থান করেছেন এক কলেজছাত্রী (১৯)। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের রূপসীহাটা এলাকার সামিউল ইসলামের (২৩) বাড়িতে অনশন শুরু করেন তিনি। সামিউল তাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত ওই বাড়ি ছেড়ে যাবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন ওই তরুণী।
সামিউল উপজেলার রূপসীহাটা এলাকার বিশু মিয়ার ছেলে এবং সরকারি আনন্দ মোহন কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ওই তরুণীও কলেজছাত্রী বলে জানা গেছে।
তরুণীর ভাষ্যমতে, সাত বছর আগে সামিউলের সঙ্গে একই এলাকার ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক চলাকালীন সামিউল বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। রোববার নাংলা ইউনিয়নে ঘুরতে গিয়ে তাকে গোপনে বিয়ের প্রস্তাব দেন সামিউল। কিন্তু ওই তরুণী গোপনে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তাকে অপহরণের চেষ্টা করেন। ওই ঘটনার পর ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় নেন তরুণী। পরে চেয়ারম্যান মেয়েটিকে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে সামিউলের বাড়িতে দিয়ে আসেন।
ওই তরুণী বলেন, ‘এ বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান না আসা পর্যন্ত আমি এ বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবো না।’
ভুক্তভোগী ছাত্রীর ছোট ভাই জাগো নিউজকে বলেন, এখনো তার বোন ওই বাড়িতেই আছেন। এ ঘটনার একটি সমাধান দাবি করেন তিনি।
তবে এ বিষয়ে সামিউলসহ তার পরিবারের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ওই তরুণী বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে তারা সবাই পলাতক। বাড়িটিও তালাবদ্ধ দেখা গেছে।
নাংলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কিসমত পাশা বলেন, বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. নাসিম উদ্দিন/এসআর/এমএস