কিশোরগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় স্বামীসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. হাবিবুল্লাহ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নিহত গৃহবধূ হেনা আক্তারের স্বামী খোকন মিয়া (৩২), তার বোন জরিনা খাতুন (৩৪) ও মামাতো ভাই জালাল মিয়া (৩৮)। একই সঙ্গে খোকন মিয়ার ৫০ হাজার, জরিনার ২০ হাজার ও জালালের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায়, খোকনের বাবা ইমান আলী (৫৮), মা কমলা খাতুন (৫৫) ও ভাই সাইদুর রহমানকে (৩৪) বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম এ আফজল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া পাথারিয়াপাড়া গ্রামের খোকন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় পাশের কৈলাকুড়ি গ্রামের আব্দুল কদ্দুসের মেয়ে ফেনা ওরফে হেনা আক্তারের। বিয়ের পর যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন খোকনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এক পর্যায়ে হেনার বাবার বাড়ি থেকে খোকনকে নগদ ৪০ হাজার টাকা, গাভী ও নতুন ঘর তৈরি করে দেয়া হয়। কিন্তু এর পর আরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন খোকন।
এ নিয়ে কলহের জেরে ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর গভীর রাতে গৃহবধূ ফেনা ওরফে হেনা আক্তারকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন খোকন ও তার স্বজনরা।
ঘটনায় পরদিন হেনার ছোট ভাই মো. সাইকুল ইসলাম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আটজনকে আসমি করে করিমগঞ্জ থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় দেন।
নূর মোহাম্মদ/এএইচ/জিকেএস