হবিগঞ্জে জলমহাল থেকে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের টঙ্গিরঘাট ও রামনগর গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানান, টঙ্গিরঘাট এলাকার সমশেদ আলীসহ তার লোকজন গ্রামের পাশের বাগাডলি এলাকায় একটি জলমহাল ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে রামনগর গ্রামের আফজল মিয়াসহ তাদের লোকজন ওই জলমহাল থেকে মাছ ধরতে যান। এসময় জলমহালের পাহারাদার সেবলু মিয়া ও বজলু মিয়া তাদেরকে বাধা দেন। তখন আফজলের পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে সেবলু ও বজলুকে আটকে রেখে মারধর করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সমশেদ আলীসহ তাদের লোকজন জলমহালে গেলে উভয়পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কয়েক দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে সেবলু মিয়া, জমশেদ আলী, সমশেদ আলী, কিতাব আলী, আজিজুর রহমান, ইয়াসিন মিয়া, নানু মিয়া, মনিরুল হক, আল আমিন, ইমন আলী, কালাম মিয়া, সাইদুর রহমান, আব্দুল কাদির, আয়াত আলী, এনামুল হক, কুদ্দুছ আলী, এখলাছ মিয়া, আলা উদ্দিনসহ অন্তত ৩০ জনকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ। পরে সদর থানার এসআই ওয়াহেদ গাজীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
তেঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মোতালিব জলমহাল নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষে আহতদের বেশ কয়েকজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, তিনিসহ সদর থানার একদল পুলিশ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে তাদের শান্ত করা হয়েছে।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এমআরআর/জিকেএস