মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। দুই মামলায় ৩৬৫ জনের নাম উল্লেখসহ বিএনপির ১৩৬৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনউদ্দিন ও শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ বাদী হওয়া মামলায় পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, সরকারি অস্ত্র-গুলি লুট ও মোটরসাইকেল পোড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। এতে ৩১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনকে।
পঞ্চসার ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সদস্য আব্দুল মালেকের করা মামলায় অফিস ভাঙচুর, ককটের বিস্ফোরণ, মারধর ও গুরুতর জখমের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে ৫২ জনের নাম উল্লেখ ও ২০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
দুই মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুন্সিগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে মুক্তারপুরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফা সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় আটটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
সংঘর্ষে পুলিশের এএসপি, সদর থানার ওসিসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। অন্যদিকে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহকালে আহত হন তিন সাংবাদিক।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/জেআইএম