কৈশর পেরিয়ে যৌবনে পা রেখেছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা ২০১৬। তবে এখনো জমেনি মেলার বাঙলা একাডেমি প্রাঙ্গণে স্থাপিত লেখক কুঞ্জ। বাঙালির প্রাণের মেলার দশম দিনেও অনেকটা নিষ্প্রাণ লেখক কুঞ্জ। মেলায়ও লেখকদের আনাগোনা আগের তুলনায় কমেছে। এর আগে লেখক কুঞ্জ ছিল লেখকদের জম্পেশ আড্ডার জায়গা। নানা বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনাসহ ছিল, নতুন বইয়ের মান বৃদ্ধিসহ নানা আলোচনা। নিজেদের স্মৃতি রমন্থন। প্রিয় লেখকদের পেতে এখানেই ভিড় জমাতো পাঠকরাও। কিন্তু লেখক কুঞ্জ না জামায় তা থেকে বঞ্চিত পাঠকরাও। লেখক কুঞ্জে থাকা কয়েকজন লেখকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মেলাকে বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দু’ভাগে ভাগ করে ফেলায় মেলার লেখক কুঞ্জে লেখকদের আনাগোনা কম। সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে যার কারণে দেখা যায় না। তাছাড়া মেলার একপাশে পড়েছে লেখক কুঞ্জটা। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় মশার উপদ্রেব বেশি। পানির ব্যবস্থা না থাকা এবং পর্যাপ্ত চেয়ার না থাকায় লেখক কুঞ্জে লেখকদের আনাগোনা কম। তাছাড়া মর্যাদা না পাওয়াটা অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তারা। লেখক শহীদুল্লাহ ফরায়জী জাগো নিউজকে বলেন, লেখকদের আসার উচিত। মেলা দুই জায়গায় পৃথক হয়ে যাওয়ায় মেলায় লেখকরা পৃথক হয়ে যায়। যার কারণে মেলায় লেখকদের আনাগোনা অনুভব করা যায় না। তাছাড়া এখানে যে লেখক কুঞ্জ আছে তা অনেকে জানেই না। তাছাড়া পর্যাপ্ত চেয়ার না থাকায় এখানে যে মেলবন্ধনের সুযোগ সেটা থেকেও বঞ্চিত লেখকরা। সুফিয়া খাতুন নামে আরেক লেখক বলেন, লেখক কুঞ্জে আসলে লেখকরা মর্যাদা পায় না যার দরুণ তারা লেখক কুঞ্জে বসে না। তবে তিনি আশা করেন লেখক কুঞ্জ জমবে। সবার উচিত এখানে আসা। কারণ এটি হচ্ছে লেখকদের স্কুলের মতো। এএসএস/এমএইচ/এসএইচএস/আরআইপি