জাতীয়

সংসদে বিল : লাইসেন্স ছাড়া পেট্রল মজুদ করলে কারাদণ্ড

লাইসেন্স ছাড়া পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুদ, পরিবহন, বিতরণ, উৎপাদন, শোধন ও মিশ্রণ বন্ধের বিধান রেখে এবং এই লঙ্ঘনে ছয়মাসের কারাদণ্ড বা দশ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে পেট্রোলিয়াম আইন-২০১৬ বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।বুধবার বিদ্যুৎ জ্বালারনি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে উত্থাপিত এই বিলে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদনক্রমে কোনো তেল বিপণন কোম্পানি প্রথম শ্রেণির পেট্রোলিয়াম ব্যবসা করার জন্য ডিলার নিয়োগ করতে পারবে। একইভাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পেট্রোলিয়াম ব্যবসার জন্য এজেন্ট নিয়োগ করতে পারবে। লাইসেন্স ছাড়া প্রথম শ্রেণির পেট্রোলিয়াম আমদানি, পরিবহন, মজুদ বা বিতরণ করা যাবে না।তবে লাইসেন্স ছাড়া দুই হাজার লিটার পরিমাণ দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির মজুদ ও পরিবহণ করা যাবে। কিন্তু তা এক হাজার লিটার পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া লাইসেন্সধারী মোটরযান বা জ্বালানি ইঞ্জিনের জন্য ৯০ লিটার পেট্রোলিয়াম মজুদ ও পরিবহণ করতে পারবে। একইভাবে বিক্রির উদ্দেশ্য ছাড়া লাইসেন্স ব্যতীত ২৫ লিটার পরিমাণ প্রথম শ্রেণির পেট্রোলিয়াম মজুদ করার বিধানও আইনে রাখা হয়েছে।বিলে বলা হয়েছে, ২৫ লিটারের বেশি মজুদ করতে হলে লোকালয়, বাসস্থান বা কর্মস্থলের বাইরে বিচ্ছিন্ন স্থানে করতে হবে। প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিস্ফোরক পরিদর্শক লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচিত হবেন। লাইসেন্স নির্দিষ্ট মেয়াদ, শর্ত, ফি প্রদান সাপেক্ষে ইস্যু হবে।বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পেট্রোলিয়াম সম্পর্কিত ১৯৩৪ সালের দ্য পেট্রোলিয়াম অ্যাক্ট আইনটি-১৯৮৬ সনে দ্য পেট্রোলিয়াম (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স দ্বারা সংশোধন করা হয়। উক্ত আইন দ্বারা পেট্রোলিয়াম এবং অন্যান্য প্রজ্জ্বলনীয় পদার্থের আমদানি, পরিবহন মজুদ, উৎপাদন, শোধন, মিশ্রণ অথবা রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পুনঃব্যবহারযোগ্য করা সংক্রান্ত কার্যাদি সম্পাদন করা হচ্ছে।এইচএস/বিএ