একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামালপুরের আশরাফ হোসেনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ২২তম সাক্ষী নাট্যকার নাছির উদ্দিন ইউসুফ (৬৫) তার জবানবন্দি পেশ করেছেন। জবানবন্দি পেশ করার পর মামলার কার্যক্রম আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত মূলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল।বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার আদালতের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ও তাপস কান্তি বল। অপরদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সুবহান তরফদার ও গাজী মো. এএইচএম তমিম।তবে জবানবন্দিতে নাছির উদ্দিন ইউসুফ বলেছেন, ২০০৯ সালের ২৭ জুলাই বে-সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইতে জামালপুরের গণহত্যা বিষয়ে একটি ধারাবাহিক প্রামাণ্য অনুষ্ঠান সম্প্রচার করি। যাতে জামালপুরের গণহত্যার বিষয়ে দুইজন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন।সাক্ষী বলেন, একাত্তরে আমার বয়স ছিল ২০ বছর। সে বছরের ২৫ শে মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। যুদ্ধে অংশ নিতে ট্রেনিংয়ের জন্যে এপ্রিলে ভারত চলে যাই। জুলাই মাসে ঢাকায় আসার পর সাভারের বিভন্ন এলাকায় অপারেশন পরিচালনা করি।সাক্ষী নাছির উদ্দিন ইউসুফ আরো বলেন, আমি চ্যানেল আই টেলিভিশনে ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ‘মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন’ নামে একটি প্রামাণ্য ধারাবাহিকভাবে সম্প্রচার করতাম। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের দোষর আলবদর আলশামস রাজাকার কর্তৃক গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নসংযোগ নারী নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাক্ষ্যপ্রমাণ জাতির উদ্দেশ্যে প্রচার করা হতো।সাক্ষী জানান, ২০০৯ সালের ২৭ জুলাই চ্যানেল আইতে জামালপুরের গণহত্যার বিষয়ে একটি ধারাবাহিক প্রামাণ্য অনুষ্ঠান সম্প্রচার করি। যাতে জামালপুরের গণহত্যার বিষয়ে দুইজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। এদের একজন হলেন সাইদুর রহমান ওরফে সাদু চেয়ারম্যান ও অন্যজন আবদুল ওয়াহাব।এফএইচ/বিএ