সিলেট শহরতলির বাদাঘাট এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার বাদাঘাট এলাকায় সোনাতলা, মইয়ারচক গ্রামবাসী ও মোগলগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম টুনু পক্ষের লোকজন মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৩০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ফাঁকাগুলি ছুঁড়ে। এসময় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী আহত হন। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সোনাতলা, মইয়ারচক, বাদাঘাট এলাকায় ঢাকার ইউনাটেড নামের একটি কোম্পানি জমি ক্রয় করে আসছে। ওই কোম্পানি মধ্যস্থতাকারী হলেন, মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম টুনু। কিন্তু গত ডিসেম্বর মাসে সোনাতলা গ্রামের কিছু লোকের সঙ্গে জমি ক্রয় নিয়ে ঝামেলা বাধে ওই কোম্পানির। আর এরই জের ধরে গত ২৮ ডিসেম্বর টুনু চেয়ারম্যান কয়েক শতাধিক লোকজন নিয়ে সোনাতলা-বাদাঘাট এলাকায় মহড়া দেন। এসময় সোনাতলা গ্রামবাসীও সংঘবদ্ধ হয়ে অবস্থান নেয়। তবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পুলিশের মধ্যস্থতায় ওই দিন কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। পরদিন গত ২৯ ডিসেম্বর বাদাঘাট এলাকায় সোনাতলা, মইয়ারচক গ্রামের উদ্যোগে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভা থেকে সোনাতলা এলাকায় টুনু চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এদিকে, শুক্রবার সকালে টুনু চেয়ারম্যান দলবল নিয়ে বাদাঘাটস্থ সোনাতলা এলাকায় এসে একটি ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এক পর্যায়ে দুপুর পৌনে ১টার দিকে সোনাতলা ও মইয়ারচক গ্রামের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে ঘর নির্মাণে বাধা দেয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে টুনু চেয়ারম্যানের লোকজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এসময় গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। তবে এলাকাবাসীও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর গ্রামবাসী পিছু হঠে। এসময় ছয় পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক এলাকাবাসী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বলেন, পুলিশসহ বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের মূল হোতাদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।ছামির মাহমুদ/এআরএ/এবিএস