যুবাদের সবচেয়ে বড় আসর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণই ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব আলী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে লংকান দলের দুই ওপেনার। প্রথম দশ ওভারেই তুলে নেয় ৫৩ রান। এরপর দ্রুত তিন উইকেট তুলে নিয়ে যুবা টাইগারদের খেলায় ফেরাল মিরাজ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লংকানদের সংগ্রহ ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৭৪ রান। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জমজমাট লড়াই শেষে তিন উইকেটে হেরে ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের যুবাদের। সেমিফাইনালে হারের ক্ষত এখন তৃতীয় স্থান অর্জন করেই ভুলতে চায় মেহেদি হাসান মিরাজরা। সেমিফাইনালে হারের পর মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে যুবা টাইগারদের অধিনায়ক মিরাজ বলেন, ‘এটাই শেষ নয়। আরও সামনে যেতে হবে। সামনে আমাদের আরেকটা ম্যাচ আছে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী। ওটাও আমাদের জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওটা জিততে পারলে, আমার কাছে মনে হবে অনেক বড় একটা প্রাপ্তি। দশটা টেস্ট দলের থেকে যদি আমরা তিনে থাকতে পারি তাহলে আমাদেরকে শীর্ষ পাঁচটি দলের একটি দল ধরা হবে।’২০০৬ সালে মুশফিকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পঞ্চম স্থান লাভ করে। এতদিন এটাই ছিল সর্বোচ্চ অর্জন। এবার মিরাজরা নুন্যতম চতুর্থ স্থান নিশ্চিত করেছে। তবে তাদের এই অর্জনের চেয়ে আরও বেশিকিছু করবে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম। এমনটা আশা করছেন মিরাজ।অন্যদিকে ২০০০ সালে শ্রীলঙ্কা নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে রানারআপ হয়েছিল। এরপর ৭টি বিশ্বকাপে অংশ নিলেও শিরোপার কাছাকাছি যেতে পারেনি লঙ্কানরা। এবারও সিংহের দলটি ব্যর্থ হয়েছে। তাই বাংলাদেশকে হারিয়ে নিজেদেরকে আরেকটু উপরে নিয়ে যেতে চাইবে ম্যাথুউসদের পরবর্তী প্রজন্মরা।এমআর/এমএস