নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনুয়ার হোসেনের অপসারণের সুপারিশ বাস্তবায়ন না করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মমতাজ বেগমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আগামী ২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট মো. আরিফ হোসেন।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মো. আরিফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, গুরুদাসপুর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের চেয়ারম্যান পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ৩০ মে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে অভিযোগ করা হয়, উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ ধারা ৮(২)(জ) লঙ্ঘন করে মো. আনোয়ার হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় নিজ নামীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আনোয়ার টেড্রার্সের পক্ষে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। রিটের শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ১ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
এদিকে রিট আবেদনকারী স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন। নাটোরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. গোলাম রাব্বী অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাকে অপসারণের সুপারিশ করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মো. আনোয়ার হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাই তাকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা যেতে পারে।
পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মমতাজ বেগম তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে ঠিকাদারি ব্যবসা না করার নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রুল শুনানির জন্য উঠলে রিটের পক্ষের আইনজীবী হলফনামা আকারে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয় আদালতকে অবহিত করেন। শুনানি শেষে আদালত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েরর সিনিয়র সহকারী মমতাজ বেগমকে তলব করেন।
এফএইচ/বিএ/এএসএম