খেলাধুলা

শেষ ম্যাচেও সেরা মিরাজ

প্রত্যাশার বেলুন অনেক ফোলানো হয়েছিল; কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই বেলুন ফুটো হয়ে যাওয়াতে আশার সমাধি ঘটে গিয়েছিল। তবে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারুক, ঠিকই এ দেশের যুব ক্রিকেটাররা সবার মন কেড়ে নিতে পেরেছিল, এটা পুরোপুরি সত্যি। বিশেষ করে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। নেতার মতই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে খেলেছেন তিনি। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দুর্দান্ত পারফরমার ছিলেন মিরাজ। টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচেও সেই পারফরম্যান্সের অসাধারণ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরেছেন তিনি।ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার বিপক্ষে তৃতীয়স্থান নির্ধারনী ম্যাচে ব্যাটে-বলে সমান পারফরমার ছিলেন তিনি। প্রথম বল হাতে ১০ ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ২৮ রান। নিয়েছিলেন লংকানদের তিনটি উইকেট। ২১৪ রানে শ্রীলংকাকে বেধে রাখার পর ব্যাট করতে নেমেও ছিলেন দুর্দান্ত। ৬৬ বলে খেললেন ৫৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ব্যাটে-বলে এমন অসাধারণ ণৈপুন্যের জন্য ম্যাচ শেষে সেরার জন্য সম্ভবত জুরিদের সামনে আর কোন অপশনই বাকি থাকার কথা নয়। হলোও সেটা। ম্যাচের সেরা হিসেবে ঘোষিত হলো মিরাজের নামই। সেরার পুরস্কার জিতে মিরাজ বলেন, ‘আমি খুবই খুশি যে ভালো বল করতে পেরেছি। সতীর্থদের কাছ থেকেও সহযোগিতা পেয়েছি। উইকেটে ভালো টার্ন ছিল। তবে ব্যাট করতে নেমে ভালো খেলছিলাম। কিন্তু রান আউটটাকে কোনভাবে মেনে নিতে পারছি না।’দলের পারফরম্যান্স নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আমরা সত্যি খুশি। তৃতীয় হতে পারাটাও অনেক বড় পাওয়া। আমার মনে হয়, আগের ম্যাচের (সেমিফাইনাল) দিনটা ছিল আমাদের জন্য খারাপ দিন। তামিম, সাকিব ভাইরা আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন। তবে এমন একটা টুর্নামেন্টে প্রচুর চাপ থাকে। আমাদের বিশাল সমর্থন এবং আশাও ছিল। পুরো টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য দারুন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই দলের একজন হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি এবং আশা করছি খুব দ্রুতই আমরা নিজেদেরকে জাতীয় দলে দেখতে পাবো।’এর আগে সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭৪ বলে ৬০ রান করেন মিরাজ। আর কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে ৬৫ বলে করেন ৫৫। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নামিবিয়ার বিপক্ষে ব্যাটিং করার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশ অধিনায়কের। আর গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৯ বলে ৫১ রান করেছিলেন তিনি। উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৮ বলে করেছিলেন ২৩ রান।আইএইচএস/এবিএস