অবৈধ যান ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল বন্ধের দাবিতে ৪-৫ নভেম্বর বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন মালিক-শ্রমিকরা। ফলে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ছুটির দিনেও কাঙ্ক্ষিত পর্যটকদের আগমন ঘটেনি পুটয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে।
সকালে কুয়াকাটা সৈকতে বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, অল্প সংখ্যক পর্যটক সৈকতে গোসল করছেন। ছবিতোলা হৈ-হুল্লোড়ে ব্যস্ততা আগের থেকে কম।
পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা বেশিরভাগই নিজস্ব পরিবহনে কুয়াকাটায় এসেছেন।
তবে যারা গণপরিবহনে কুয়াকাটায় এসেছেন তারা অনেকেই জানতেন না যে ধর্মঘট আছে। তাই তাদের শনিবার রাত পর্যন্ত কুয়াকাটায় অপেক্ষা করতে হবে।
ঢাকা আসা রুহুল আমীন নামের এক পর্যটক বলেন, ‘আমরা কাল রাতে সৈকতে এসেছি। তবে শুনছি ধর্মঘট চলছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি শনিবার রাতে ফিরবো। ধর্মঘট না থাকলে কাল সকালেই ফিরে যেতাম।’
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু জাগো নিউজকে বলেন, ৪ ও ৫ নভেম্বর পরিবহন ধর্মঘটে কাঙ্ক্ষিত পর্যটকদের দেখা নেই। তবে এর প্রভাব ৭ নভেম্বর কুয়াকাটা অনুষ্ঠিতব্য রাস মেলায় পড়তে পারে। কারণ লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয় রাস মেলা। কিন্তু এ দুদিনের ধর্মঘট কিছুটা বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি শুক্রবার কুয়াকাটায় যে পর্যটকের আগমন ঘটে আজকে তার ২০-৩০ শতাংশও আসেনি। ফলে পর্যটন ব্যবসায়ীদের কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তবে ধর্মঘট উঠিয়ে নিলে ফের পর্যটক আসবে এটা প্রত্যাশা করতে পারি।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসজে/এমএস