দেশজুড়ে

চকরিয়ায় ব্যানার-ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ

অবশেষে দ্বিতীয় দফা পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সে অনুসারে আগামী ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচন। আর এ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার অনেক আগে থেকেই সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাব্যতা জানিয়ে টাঙিয়েছেন ব্যানার-পোস্টার ও পেস্টুন। নিয়মানুসারে তফসিল ঘোষণার পর এসব রকমারি প্রচারপত্র না থাকার কথা। কিন্তু চকরিয়ার অলিগলির আকাশে, দেয়ালে এবং বিলবোর্ডে বহাল তবিয়তে শোভা পাচ্ছে এসব রংবেরং এর প্রচারণা। তাই এসব ব্যানার-পোস্টার সরাতে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন রিটানিং অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন। প্রশাসনের মাধ্যমে বলার পাশাপাশি এই নির্দেশনা মাইকিং করেও প্রচার করা হয়েছে। আজ রোববার বিকাল ৫টার মধ্যে ব্যানার-পোস্টার না সরালে সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে এ ব্যবস্থা বলে জানান রিটানিং অফিসার।সরেজমিন পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চকরিয়া থানার মোড়, উপজেলা প্রশাসিনক ভবনের সামনে, থানা রাস্তার মাথা ও জনতা মার্কেট এলাকায় সব চেয়ে বেশি ব্যানার পোস্টার টাঙানো হয়েছে। এছাড়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটি স্টেশন এলাকায় টাঙানো রয়েছে বিভিন্ন প্রার্থীর ব্যানার-পোস্টার। দোকানের উপর, গাছের ডালে, বাঁশে বেঁধে, দেয়ালে সাটিয়ে মাসখানেক আগে লাগানো ব্যানার-পোস্টার তফসিল ঘোষণার পরও রয়ে গেছে। এমনকি ৫-৬ জন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীর পক্ষে টাঙানো ব্যানার বড় বিলবোর্ডকেও হার মানিয়েছে।এসব ব্যানার-পোস্টার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গনের পর্যায়ে পড়ে বিধায় তা সরানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রোববার বিকাল ৫টার মধ্যে সকল ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে ফেলতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। চকরিয়া পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন বলেন, যাদের ব্যানার-পোস্টার টাঙানো রয়েছে তাদের আজ বিকাল ৫টার মধ্যে তা সরাতে হবে। না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্দেশনা পালন না হলে মনোনয়ন দাখিল করলে প্রার্থিতাও বাতিল করা হতে পারে।  তিনি আরও বলেন, আমি নিজে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখবো। ৫টার পর পোস্টার-ব্যানার থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।রিটার্নিং অফিসার বলেন, চকরিয়ার পৌর নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে করতে যেসব উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন তার সবই করা হবে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন অফিস যৌথভাবে কাজ করছে।উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভায় নির্বাচন হবে ২০ মার্চ। এই নির্বাচন দলীয়ভাবে হওয়ায় বেশিরভাগ সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী কেন্দ্রের মন জয় করে দলীয় প্রতীক পেতে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছে বলে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সায়ীদ আলমগীর/এসএস/আরআইপি