দারিদ্র্য নিরসনে প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের বিকল্প নেই মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রাণিসম্পদ খাত থেকে আমরা খাদ্যে পুষ্টি রফতানি বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি। প্রাণীসম্পদ খাত আমরা সেভাবে মূল্যায়ন করতে পারিনি। বড় এবং ছোট কোনো খামারিকেই করের আওতায় নিয়ে আসা উচিত নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। রোববার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বনিক বার্তা ও এসিআই লিমিটেড আয়োজিত ‘বাংলাদেশে দারিদ্র বিমোচন ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। মুস্তফা কামাল বলেন, ২০৩০ সালের আগে দেশকে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। প্রাণিসম্পদের টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসন সম্ভব হবে। পৃথিবীতে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষ এখনও দারিদ্র্য। প্রতি ৯ জনে একজন না খেয়ে ঘুমাতে যান। এ পরিস্থিতি উন্নয়নে প্রাণি সম্পদের উন্নয়নের বিকল্প নেই। প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ড. কাজী আবদুস সাত্তার বলেন, প্রাণীসম্পদ খাতে জনবলের ব্যাপক সংকট রয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অ্যানিমেল হেলথ খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। প্যানেল আলোচক বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভাপতি মসিউর রহমান খান বলেন, পোল্ট্রি শিল্পে বর্তমানে ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে আশা করা হচ্ছে এই শিল্পে বিনিয়োগ হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোক্ততাদের হাতে হাত ধরে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক একে এম ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বর্তমানে পলিসি রয়েছে কিন্তু অ্যাকশন প্লান না থাকায় তার সুফল মিলছে না। এনএম/জেএইচ/আরআইপি