জাতীয়

মশা নিধনে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের যত উদ্যোগ

ডেঙ্গু মশার নিয়ন্ত্রণসহ আসন্ন শীত মৌসুমে কিউলেক্স মশার উপদ্রব কমাতে নানা উপায়ে কাজ করছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (৭ নভেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মশা নিধনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, সিডিসি, বেসামরিক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় কাজ করতে যাচ্ছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রতিদিন বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে সকালে সিডিসি ও ডিএনসিসির পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ ব্যবহার করে লার্ভিসাইড স্প্রে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্রতিদিন বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে ইনসেডিসাইড স্প্রে বা ফগিং কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

এছাড়া বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য গেইট খোলা রাখতে হয়, এজন্য সব প্রবেশ ও বের হওয়ার গেইটের দুপাশে ভোর এবং সন্ধ্যার ধুপ ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে মস্কিউটো ট্র্যাপ ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মশা নিধনে কয়েক মাস আগে বিমানবন্দরে এয়ার ও ল্যান্ড সাইডের বিভিন্ন খাল ও পুকুরে গাপ্পি মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। বিমানবন্দরে মশা নিরোধক ফুলের গাছ যেমন- গাঁদা, লেমন গ্রাস ও তুলসী গাছ রোপণ করা হয়েছে। বিমানবন্দরের অভ্যন্তর এলাকায় খাল ও পুকুরগুলো যথাযথভাবে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়ে থাকে, যা মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স কর্তৃক মনিটর করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকার বর্জ্য নিয়মিতভাবে অপসারণ হয়ে থাকে। এতে সাম্প্রতিক সময়ে জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে সিডিসি দুটি সার্ভে সম্পন্ন করেছে। সার্ভে দুটির ফলাফলে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে পরিচ্ছন্নতা ও লার্ভার নিয়ন্ত্রণ পূর্বের যে কোনো সময়ের চাইতে সন্তোষজনক।

এমএমএ/আরএডি/এএসএম