প্রথম দুই ম্যাচে বাজেভাবে হেরে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে পিছিয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্ট সিরিজ হারের পর প্রোটিয়াদের লজ্জার আর কিছু বাকি থাকার কথা নয়। তার ওপর, ওয়ানডে সিরিজেও যদি সফরকারী ইংল্যান্ডের কাছে হারে তাহলে, তো উট পাখির মতো বালুতেই নাক-মুখ লুকাতে হবে এবি ডি ভিলিয়ার্স, হাশিম আমলাদের।কিন্তু, সেই লজ্জা থেকে অবশেষে মুক্তি পেলো প্রোটিয়ারা। প্রথম দুই ম্যাচ হারলেও পরের তিন ম্যাচ টানা জিতে শেষ পর্যন্ত সিরিজটাই জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই সিরিজ জয় এক কথায় অসাধারণ। কারণ, দুই ম্যাচ পিছিয়ে থেকে সিরিজ জয়ের রেকর্ড খুবই কম।কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড। আগের চার ম্যাচে দুটি করে জেতার ফলে সিরিজে সমতা। ফলে শেষ ম্যাচটিই হয়ে দাঁড়াল ফাইনাল। এমন ম্যাচে আলেক্স হেলসের অনবদ্য সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ইংল্যান্ডকে ৪৫ ওভারে ২৩৬ রানে অলআউট করে দিয়ে ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।৪৪ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেঞ্চুরির জবাবে সেঞ্চুরি করেন ডি ভিলিয়ার্স। ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড ওয়াইজ। ৫৯ রান করেন হাশিম আমলা। ইংল্যান্ডের রিস চপলি নেন ৩ উইকেট।এর আগে টব হেরে ব্যাট করার আমন্ত্রণ পায় ইংল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে একপ্রান্তে একাই লড়াই করে যান আলেক্স হেলস। ১১২ রান করেন তিনি। বাকিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন বেন স্টোকস। জো রুট করেন ২৭ রান। স্টুয়ার্ট ব্রড করেন ১৩ রান। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা, ইমরান তাহির এবং ডেভিড ওয়াইজ।আইএইচএস/বিএ