অটোরিকশা চালিয়ে চার সদস্যের পরিবারের হাল ধরা শিশু বাঁধনের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাঁধন (১২) জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া বাজার এলাকার আবুল কালাম ও শেফালী আক্তার দম্পতির বড় ছেলে। সে ১৬ নম্বর পশ্চিম বয়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে সে স্কুলে অনিয়মিত। পরিবারের হাল ধরতে গিয়ে কয়েক মাস ধরে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ। চার সদস্যের পরিবারের হাল ধরতে এই বয়সেই সে অটোরিকশা চালাচ্ছে। এতে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে।
শিশু বাঁধনের মানবিক এ বিষয়টি নিয়ে শনিবার (৫ নভেম্বর) ‘সংসারের হাল ধরতে অটোরিকশা চালায় শিশু বাঁধন’—শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাগোনিউজ২৪.কম। এরপরই বাঁধনের দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
বিষয়টি জানার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে তার বাড়িতে ছুটে যান সরিষাবাড়ী উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান।
আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা যারা ছাত্র অধিকার পরিষদ করি তারা সবসময় ছাত্রদের নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি। বাঁধনের বিষয়টি যখন জাগো নিউজে প্রকাশ পায় তখনই আমি তার কাছে ছুটে আসি। এসএসসি পাসের আগ পর্যন্ত বাঁধনের পড়াশোনার সব দায়িত্ব উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের।
বাঁধনের বাবা আবুল কালাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ছেলে স্কুলে পড়তে চায়, কিন্তু আমি নিয়মিত তাকে স্কুলে পাঠাতে পারি না। ছেলে স্কুলে গেলে সংসার চলে না। বাড়িতে ছোট একটি দোকান রয়েছে, তবে দোকানে তেমন একটা মালামাল নেই। টুকটাক যা বেচাকেনা হয় আর ছেলে যা রোজগার করে তা দিয়ে কোনোরকমে চলে তাদের চারজনের সংসার।
১৬ নম্বর পশ্চিম বয়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন জাগো নিউজকে বলেন, এটা একটি মহৎ উদ্যোগ। স্কুল থেকে শিশু বাঁধনের জন্য সবধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
নাসিম উদ্দিন/এসআর/জেআইএম