ই-টিকিটিংয়ে যারা কালোবাজারি করছে তাদের কাছ থেকে টিকেট না কিনে তাদের ধরিয়ে দিতে রেলের যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রেল সেবা সপ্তাহ-২০২২ এর উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
রেলমন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের সহযোগিতা ছাড়া রেলের কালোবাজারি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ই-টিকিটিং নিয়ে যারা কালোবাজারি করছে তাদের কাছ থেকে টিকিট না নিয়ে ধরিয়ে দিন।
মন্ত্রী বলেন, রেল দিবসকে সামনে রেখে আমরা রেল সপ্তাহ পালন করছি। একটি দেশের উন্নয়ন করতে হলে ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। প্রধানমন্ত্রী এ লক্ষ্য নিয়েই ২০১১ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েকে নতুন জীবন দিয়েছেন। এর আগে রেল কর্মকর্তারা রেল ব্যবস্থাকে যেন ধ্বংস না করা হয় তার জন্য অবস্থান নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে রেলের নতুন নতুন লাইন বাড়ানো হয়েছে। যমুনা সেতুতে রেল সেতু যুক্ত করা হয়েছে। এতে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বাড়ছে।
তিনি বলেন, আমরা যাত্রীদের রেল সেবা বাড়াতে কাজ করছি। রেলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যাত্রীসেবা বাড়াতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। আমাদের টিকিটিং ব্যবস্থায় কালোবাজারি ছিল। সেগুলো আমরা পরিপূর্ণভাবে এখনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। তবে উদ্যোগ নিয়েছি। ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’- আমরা সে ব্যবস্থা চালু করছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিটি জেলায় রেল সম্প্রসারণ করছি। আমরা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেনে যেতে পারবো, সে ব্যবস্থাও করছি।
তিনি বলেন, রেলের সম্পদ রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটা নষ্ট করবেন না। শুধু রেলের কর্মকর্তারা এটি রক্ষা করতে পারবে না। আপনাদেও এগিয়ে আসতে হবে।
১৫ থেকে ২১ নভেম্বর চলা রেল সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ডি এন মজুমদার, ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সফিকুর রহমান ও রেলওয়ের ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র প্রমুখ।
আরএসএম/এমকেআর/জিকেএস