রাজবাড়ী থেকে ভারতের মেদিনীপুর শহরের জোড়া মসজিদে ১১৫তম পবিত্র ওরশ শরিফ উপলক্ষে ২২টি বগিতে দুই হাজার ২শ ওরশ যাত্রী নিয়ে স্পেশাল ট্রেনটি ভারতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। সোমবার রাত ১০টায় রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর উদ্যোগে এ স্পেশাল ট্রেনটি ছেড়ে যায়।এ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রাকে কেন্দ্র করে স্টেশন এলাকায় মেলার সৃষ্টি হয়েছে। দোকানিরা হরেক রকমের খাবারের দোকান সাজিয়ে বসেছিলেন। আর যাত্রীদের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রেনটি দেখতে আসা লোকজনের ভিড়ে পুরো স্টেশন এলাকায় পা ফেলার জায়গাটুকু ছিল না। বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে।আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর সভাপতি ও ওরশ স্পেশাল ট্রেন লিডার কাজী ইরাদত আলী জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে নূরনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর ৩৩তম ও গাউস উল আযম বড় পীর সৈয়দানা হজরত আব্দুল কাদের জিলানী (আ.) পাক এর ২০তম অধস্তন পবিত্র বংশধর হজরত আলী আব্দুল কাদের সামশুল কাদেরী সৈয়দ শাহ মোরশেদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আঃ.) মশহুর নাম “মওলাপাক” এর ১১৫তম বার্ষিক পবিত্র ওরশ শরিফ ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে মসজিদ মির্জামহল্লা মেদিনীপুরে উদযাপিত হবে।পবিত্র ওরশ শরিফ পরিচালনা করবেন রাসুল পাকের (সা.) ৩৩ তম ও গাউস-উল আযম বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী (আ.) পাক এর ২০তম অধস্তন আওলাদপাক জিল্লে ইলাহী, বেলায়েত রবি, গাউসে জামান লাখো ভক্তের আকা ও কেবলা কাদেরীয়া তরীকার সজ্জাদানশীন বড় হুজুরপাক হজরত সৈয়দ শাহ রশিদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।এ উপলক্ষে “বড় হুজুরপাক” কেবলা পরিচালিত আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া, রাজবাড়ীর উদ্যোগে ২২টি বগি সম্বলিত মেদিনীপুর ওরশ স্পেশাল ট্রেনে প্রায় ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ পুরুষ ১২৫৫ জন, মহিলা ৮৬৫ জন, শিশু ৮০ জনসহ মোট ২২০০ জন ওরশ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায়। পবিত্র ওরশ শরিফ শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারী ট্রেনটি রাজবাড়ীতে ফিরে আসবে।প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও মেদিনীপুর শহরে মির্জামহল্লা জোড়া মসজিদ প্রাঙ্গন ও দায়রাপাকে সুফি সাধক হজরত সৈয়দ শাহ মুরশেদ আলী আল কাদেরীর ১১৫তম বার্ষিক ওরশ উৎসব মহাসমারোহে পালিত হবে। দু’দিনব্যাপি এই উৎসব চলবে ১৭ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি।১৯০১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বেসাল শরিফের (তিরোধান) পর থেকেই প্রত্যেক বছর এই পবিত্র ওরশ পালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে তার প্রপৌত্র বর্তমান সজ্জাদানশীন ও স্থলাভিষিক্ত বড় হুজুর পাক নামে খ্যাত হজরত সৈয়দ শাহ্ রশিদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরীর উপস্থিতিতে ও পরিচালনায় সব কিছু নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। মাজার শরিফ জিয়ারত এবং বড় হুজুর পাক এর দর্শন লাভের আকাঙ্ক্ষায় দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সমবেত হয়।রুবেলুর রহমান/বিএ