পটুয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে শহরের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এতে ছাত্রদলের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে তিনজন গুরুতর আহত হয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে হামলার ঘটনায় ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগকে অভিযুক্ত করলেও তারা বলছেন এটা ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিউল বাসার উজ্জ্বল সিকদার জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গাড়ির বহরে হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রদল। মিছিলটি সবুজবাগ মোড় থেকে শুরু হয়ে তিতাস এলাকা হয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিউল বাসার উজ্জ্বল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান শামীম, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন হাওলাদার ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. জাকারিয়া আহমেদসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আল-আমিন হাওলাদার ও মো. জাকারিয়া আহমেদকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ও বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফ বলেন, ঘটনাটি ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের বহিঃপ্রকাশ। দীর্ঘদিন ধরে পটুয়াখালীতে বিএনপি ও তাদের প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে চলছে। এ ঘটনাটিও ওই দু’গ্রুপের আধিপত্যের জেরেই ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী সম্পৃক্ত নেই।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, এ ধরনের ঘটনার বিষয় আমার জানা নেই। কেউ থানায় অভিযোগও করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আব্দুস সালাম আরিফ/আরএইচ/জেআইএম