রাজধানীর কাওরান বাজারে মাছের আড়তে অভিযান পরিচালনা করে ১১শ’ কেজি নিষিদ্ধ জাটকা ইলিশ বাজেয়াপ্ত ও জাটকা বিক্রির অপরাধে ৭ জনকে জেল-জরিমানা করেছেন র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে মানিক মিয়া (৪০) মো. আলমগীর (৩৪), মো. মনির হোসেন (২৫), মো. লুৎফর রহমান (৪৮), সিরাজুল ইসলাম (৫০), কাঞ্চন (৩২) কে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং মো. সোহেল (২০) কে ৫ হাজর টাকা জরিমানা করেন আদালত। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক ড. দিদারুল আলম এর নেতৃত্বে ও মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর এবং জাটকা সংরক্ষণ প্রকল্প পরিচালক জাহিদ হাবিব এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক ড. দিদারুল আলম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেজগাঁও থানাধীন কাওরান বাজারের ১নং ডিআইটি মার্কেটের বিভিন্ন মাছের আড়তে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ১১শ’ কেজি জাটকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। নিষিদ্ধ জাটকা মজুদ ও বিক্রির অপরাধে ৭ জন মৎস্য বিক্রেতাকে আটক করা হয়। তিনি জানান, ১ নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জাটকা ধরা, বিক্রয়, পরিবহন ও মজুদ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ সময়ের মধ্যে জাটকা জিরো সাইজ থেকে ৯ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। ইলিশ মাছ স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের হয়। কিন্তু অসাধু জেলেরা ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা না হতেই তারা এসব জাটকা ধরছে। তিনি আরো জানান, ইলিশ রক্ষার লক্ষ্যে জাটকা শিকার, পরিবহন ও বেচা-কেনা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। জাটকা শিকার, বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার জন্য এই নিষিদ্ধ জাটকা বিক্রি করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাজারে ইলিশ মাছের চাহিদা অনেক বেশি। বেশি মুনাফা লাভের আশায় দেশের নদী তীরবর্তী অঞ্চল বরিশাল, চাঁদপুর, পটুয়াখালী, সিরাজগঞ্জ ও ভোলা এলাকা হতে মাছ সংগ্রহ করে মাছের মজুদ করছিলেন। আটককৃতদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই ৬ জনের প্রত্যেককে একবছর করে কারাদণ্ড এবং একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।জেইউ/এসএইচএস/পিআর