সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বাউল শাহ আবদুল করিম জন্মশতবর্ষ উৎসব হয়ে গেল বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সহযোগীতায় শাহ আবদুল করিম জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি আয়োজিত এ্ই উৎসব চলবে তিন দিনব্যাপী। সিলেট উৎসব কমিটির আহ্বায়ক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আরো বক্তব্য রাখেন তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্ঠা ও টিআইবি’র বোর্ড অব টাস্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুস। তারা প্রত্যেকেই বাউল সংগীতের এই মহান সাধককে বাংলা সংগীত তথা সংস্কৃতির উজ্জ্বল নক্ষত্র বলে অভিহিত করেছেন। তারমধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘বাউল শাহ আবদুল করিম ছিলেন অত্যন্ত উচ্চমানের দার্শনিক। অবলীলায় তিনি নিজের দর্শন মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন। করিম ছিলেন অত্যন্ত রাজনৈতিক সচেতন জনমানুষের কবি। তার গানে মানুষের মুক্তির কথা, অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বারবার উঠে এসেছে।’সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর বলেন, ‘শাহ আবদুল করিমের গানের কেবল সুর নয়, তাঁর কথার গভীরতা আবিস্কার করতে হবে। গানের মধ্য দিয়েই তাকে বুঝতে হবে, জানতে হবে অন্তরে ধারণ করতে হবে। লালন করেত হবে প্রাণের গভীরে।’বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ‘যিনি সমস্ত মানবতাকে, সমগ্র মনুষ্যত্বকে ধারণ করতে পারেন তিনিই বড় মানুষ। শাহ আবদুল করিম ছিলেন তেমনই একজন বড় মানুষ। আমাদের বারবার তার কাছে ফিরে যেতে হবে।’অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন নাট্যব্যক্তিত্ব ঝুনা চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব শিল্পী জামাল উদ্দিন হাসান বান্না।আলোচনা পর্বের শুরুতে শতশিল্পীর কণ্ঠে করিমের গান পরিবেশন করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। আলোচনা পর্ব শেষে আবদুল করিমের গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা। তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে ঢাকা ও পশ্চিমবঙ্গের অনেক শিল্পী সঙ্গিত পরিবেশন করবেন।ছামির মাহমুদ/এলএ/পিআর