বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে চার দেশীয় ব্যবসায়িক সংযোগ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্বোধন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জেনারেল (অব.) বিজয় কুমার সিংহ এ ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জেনারেল (অব.) বিজয় কুমার সিংহ বলেন, বাংলাদেশ আমাদের ভালো প্রতিবেশি এবং বন্ধু। মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আজ আমরা এই স্থলবন্দরে যাতায়াতের উদ্বোধন করতে পারলাম। এসময় দুই দেশের হাই-কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাবান্ধা খুলে যাওয়ায় চার দেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারসহ পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে বলেও জানান বক্তারা। উদ্বোধনের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে পঞ্চগড় চেম্বারের সভাপতি আশরাফুল আলম পাটোয়ারীসহ ৩২ জন পাসপোর্ট এবং ভিসার মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করেন। এসময় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের ফুলের তোড়া ও চায়ের প্যাকেট দিয়ে স্বাগত জানান। প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর এই স্থলবন্দরের পথচলা শুরু হয়। এতদিন এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের মধ্যে শুধুমাত্র পণ্য পরিবহন হতো। উদ্বোধনের পর থেকে এই বন্দর দিয়ে পাসপোর্টের মাধ্যমে জনসাধারণ বাংলাদেশের দিয়ে ভারত হয়ে নেপাল ভুটান যাতায়াত করতে পারবেন। বাংলাবান্ধা থেকে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব মাত্র ৫৫০ কিলোমিটার। এছাড়া বাংলাবান্ধা থেকে ভারতের শিলিগুড়ি শহরের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার এবং দাজিলিং শহরের দূরত্ব ৫৮ কিলোমিটার, নেপালের কাকভিটার দূরত্ব ৬১ কিলোমিটার এবং ভুটানের ফুটেন্টসলিং শহরের দূরত্ব হবে মাত্র ৬৮ কিলোমিটার। সড়কপথে ঢাকা থেকে বগুড়া-রংপুর-পঞ্চগড় হয়ে সহজেই ভারতের ফুলবাড়ী যাওয়া যাবে এবং সেখান থেকে ভুটান এবং নেপালেও সহজে যাতায়াত করা সম্ভব হবে।সফিকুল আলম/এআরএ/এবিএস