অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতে আটক হওয়া বাংলাদেশের ২৪ নাগরিককে চার বছর পর ফেরত দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা শুল্কবন্দর চেকপোস্ট দিয়ে শুক্রবার দুপুরে তারা দেশে ফিরেন।শেওলা ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০১২ সালে চাপাইনবাবগঞ্জের ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছিল ভারতীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর তাদের ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুক্রবার দুপুরে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা-সুতার কান্দি স্থলবন্দর দিয়ে ২৪ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। বাংলাদেশের পক্ষে শেওলা স্থবন্দরে তাদের গ্রহণ করেন সিলেট জেলাার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা ও বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) জুবের আহমদ এবং শেওলা ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা রস্তম আলী। ভারতের পক্ষে তাদের ফেরত দেন সুতারকান্দি ইমগ্রেশন কর্মকর্তা এস চক্রবর্তী, বিক্রম ব্যানার্জি, ১৩৩ বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পি এম গণেশ প্রমুখ। ফেরত আসা ২৪ বাংলাদেশি হলো, আব্দুল খালিক, মাশিরুল ইসলাম, আনারুল হক, কাইউম আলী, আব্দুর রহিম, জহির উদ্দীন, আব্দুল খালিক, তোফাজুল হক, আরিফুল, মো. কবির, আনোয়ারুল, মো. আব্দুল মান্নান, মো. মিজানুর রহমান, মো. রহিম উদ্দিন, মো. সাদেকুল ইসলাম, মো. আতিকুল, জাহাঙ্গীর ইসলাম, মো. জিয়াউল হক, রহিম, তোবজুল হোসেন, আব্দুস সালাম, জাহাঙ্গীর আলম, মো. রেজাউল করিম।এ ব্যাপারে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের দূরদর্শীতার কারণে চার বছর পর দেশে ফিরেছেন ২৪ জন বাংলাদেশি। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জেলহাজতে থাকা বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবের আহমদ বলেন, ফেরত আসা বাংলাদেশিদের নিজ নিজ বাড়িতে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফেরত আসা আবদুল খালেক জাগো নিউজকে জানান, ভারতে আমাকে অমানসিকভাবে কাজ করিয়ে টাকা দেয়নি মালিক। টাকা চাইলে কাল পরশু দেব বলে টালবাহানা করে। এক পর্যায়ে দেশে টাকা পাঠানোর জন্য রহমতকে (ভারতীয় মালিক) চাপ দিলে তিনি পুলিশে ধরিয়ে দেয়। পুলিশও আমাদের সঙ্গে অমানসিক নির্যাতন করেছে। দীর্ঘদিন জেল খেটে দেশে ফিরে এখন আমি নতুন জীবন পেয়েছি মনে হচ্ছে। আমাদের দেশে ফিরিয়ে আনায় সরকারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।ছামির মাহমুদ/এআরএ/এমএস