দেশজুড়ে

নেত্রকোনায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা

নেত্রকোনার মদনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় দুর্জয় মিয়া (১৪) ও হিমেল মিয়া (১৫) নামের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

আহত হিমেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার তিয়শ্রী এন এইচ খান একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ১১ জনকে আটক করেছে মদন থানা পুলিশ। আটকরা হলেন অন্তর মিয়া (১৪), আসলাম (১৫), রিফাত (১৫), তানভীর (১৪), নাজিম (১৫), রাফি (১৫) প্রয়াস (১৪), স্বাধীন (১৪), বিপ্লব (১৫) ও রিয়াদ (১৪)। তাদের মদন থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

পুলিশ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তিয়শ্রী এন এইচ খান একাডেমিতে শুক্রবার সকালে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল। এসময় মদন উপজেলার চানগাঁও গ্রামের বিপ্লব ও নাজিমসহ কয়েকজন গিয়ে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেন। তিয়শ্রী এন এইচ খান একাডেমির কয়েকজন শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়।

বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষরা সমাধান করে দিলে ফের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই ১৫-২০ জন বখাটে রড ও লাঠি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। হামলায় তিয়শ্রী এন এইচ খান একাডেমির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী দুর্জয় ও হিমেল আহত হলে স্থানীয় লোকজন ১১ জন হামলাকারীকে আটক করে বিদ্যালয়ে আটকে রাখেন। পরে মদন থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে আসে।

আহত হিমেল ও দুর্জয়কে পাশের উপজেলা কেন্দুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ায় হয়। দুর্জয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিয়শ্রী এন এইচ খান একাডেমির প্রধান শিক্ষক আল মামুন তালুকদার বলেন, ‘বিজয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কয়েকজন বখাটে আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ায়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাদের অফিস কক্ষে নিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তখন তারা আমাদের হুমকি দিয়ে বিদ্যালয়ে থেকে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরেই ১৫-২০ বখাটে রড ও লাঠি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। পরে আমরা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’

এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইচ এম কামাল/এসআর/এএসএম