দেশজুড়ে

বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে ল্যাপটপ না দেওয়ায় শিক্ষককে চড়থাপ্পড়

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর না দেওয়ায় স্কুলশিক্ষককে চড়থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে রাকিব হাসান নামের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম আনোয়ার হোসেন। তিনি উপজেলার ৫ নম্বর শিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের তিল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য রাকিবসহ চারজনের নামে মামলা করেছেন তিনি।

শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রোববার বেলা ১১টার দিকে আমি স্কুলের অফিস কক্ষে বসে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল তৈরির কাজ করছিলাম। এ সময় ইউপি সদস্য রাকিবের নেতৃত্বে কয়েকজন অফিসে আসেন। তারা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য স্কুলের প্রজেক্টর ও ল্যাপটপ দাবি করে। আমি তাদের বলি, ল্যাপটপে রেজাল্ট তৈরির কাজ করছি, এখন দিতে পারবো না। এছাড়া বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের ব্যাপার।’

আনোয়ার আরও বলেন, ‘এ নিয়ে আমাকে প্রথমে গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে মেম্বার আমাকে জামার কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে চড়থাপ্পড় মারতে থাকেন। তার সঙ্গে থাকা হামিদুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন ও মাসুম আমাকে চড়থাপ্পড় মারতে মারতে স্কুলের বাইরে নিয়ে যায়।’

মারধরের বিষয় অস্বীকার করে ইউপি সদস্য রাকিব হাসান বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর দিতে চেয়েছিলেন। তাই আমরা স্কুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষক আনোয়ার হোসেন দিতে চাননি। এরপর আমরা চলে এসেছি। কিন্তু তাকে মেরেছি এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

তিল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার সময় আমি স্কুলে ছিলাম না। ঘটনার পর স্কুলে পৌঁছাই। সেখানে গিয়ে দেখি ওই শিক্ষককে মারতে মারতে স্কুলের বাইরে নিয়ে গেছে। তখন আমি শিক্ষক আনোয়ারকে স্কুলে নিয়ে আসি।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহিন আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ওই শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন তারা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকান্দার আবু জাফর জাগো নিউজকে বলেন, দুপুরে ওই শিক্ষক থানায় একটি জিডি করেছেন। এখন তদন্ত করে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসজে/এএসএম