নীলফামারীর জলঢাকায় যথাসময়ে বিদ্যালয়ে না আসায় এক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে কারণ দর্শাতে (শোকজ) বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) উপজেলার পশ্চিম বালাগ্রাম কালীর ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে শোকজ করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকারের।
শোকজ নোটিশ পাওয়া শিক্ষকরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক পুনিল চন্দ্র রায়, সহকারী শিক্ষক রিক্তা বালা রায়, সেলিনা আক্তার, শেফালী রানী রায় ও ফাতিমা আফরোজ খুশি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, নোটিশে একদিনের বেতন কর্তনসহ কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে বিষয়ে জানতে তিন কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।
এরআগে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ‘দেরিতে এলেন শিক্ষকরা, ফিরে গেলো শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাগোনিউজ২৪.কম।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সোমবার সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, কোনো শিক্ষক আসেননি। ২০ মিনিট পর কয়েকজন শিক্ষার্থী আসে। তবে শিক্ষক না আসায় তারা ফিরে যায়। ৯টা ৫১ মিনিটে আসেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র রায়। ১০টার দিকে বিদ্যালয়ে আসেন দুজন সহকারী শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটিতে পাঁচ শিক্ষকের মধ্যে একজন প্রশিক্ষণে থাকলেও সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অনুপস্থিত ছিলেন আরও একজন শিক্ষক।
স্থানীয় ও অভিভাবকদের অভিযোগ, সঠিক সময়ে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে না আসায় দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে।
এসআর/এএসএম