রাঙ্গামাটির অন্যতম প্রসিদ্ধ পর্যটন স্পর্ট ‘সাজেক ভ্যালি’। সারা বছরই পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে এ জায়গাটি। সাজেকে প্রতিদিন সকালে বসে পাহাড়ি পণ্যের বাজার। রকমারি এ পসরা সাজিয়ে বসেন সাজেকের পাহাড়িরা।
রোজ সকালে দূর-দূরান্ত থেকে পাহাড়ি বিভিন্ন ফলমূল, শাকসবজি, হাতে তৈরি নানান পোশাক, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ জুমের ফসল নিয়ে সাজেকের রুইলুইতে আসেন পাহাড়িরা। তাদের মূল ক্রেতা হলেন পর্যটক। পর্যটকরাও এ বাজার থেকে কেনেন নানান কিছু।
সাজেকের এই বাজারটিতে জুমের লাল ও কালো বিনি চাউল, পাহাড়ি কলা, কমলা, ঠান্ডা আলু, জংলি আলু, মরিচসহ নানান রকমের সবজি, বাঁশ দিয়ে তৈরি মগ, বাঁশের তৈরি নানান জিনিসপত্র, তাঁত দিয়ে তৈরি পোশাকসহ পাহাড়ের বিভিন্ন পন্য পাওয়া যায়।
পাহাড়ি কলা, বিনি চাল ও সুপারি বিক্রি করছিলেন চিংলু মারমা। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের এখান থেকে পর্যটকরা বাজার করে নিয়ে যান। বেচাকেনাও ভালো হয়।’
বাঁশ দিয়ে তৈরি মগ বিক্রি করছিলেন উলামং। তিনি বলেন, ‘নিজের হাতে পাহাড় থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে এনে তা দিয়ে মগ তৈরি করি। এ মগগুলোর চাহিদা রয়েছে। পর্যটকরা এখানে এলেই মগগুলো কিনতে চান। পর্যটক বেশি হলে আমাদের বিক্রিও বেশ ভালো হয়।’
ঋদ্ধিতা মারমা নামের এক বিক্রেতা বলেন, ‘আমি বাঁশের তৈরি ঝুঁড়ি, তাঁতের চাদর এবং পাহাড়ি পোশাক নিয়ে এসেছি। পর্যটকরা সাজেক এলে এসব জিনিস খোঁজেন।’
পিরোজপুর থেকে আসা পর্যটক আবির হোসেন বলেন, ‘আমি সকাল থেকে এই বাজারে ঘুরছি। বাজারে যেসব জিনিসপত্র এসেছে তার মধ্যে পাহাড়ি ফলমূল ও শাকসবজি বেশ টাটকা। আমি পাহাড়ি কলা নিলাম, অনেক সুস্বাদু।’
পর্যটক রোকেয়া আক্তার লিপি বলেন, সাজেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এলাম। এসে জানতে পারি সকালে এখানে বাজার বসে, তাই বাজারে এসেছি। আমি নিজের জন্য বাঁশের তৈরি মগ, পাহাড়ের বিনি চাল আর মায়ের জন্য শাল নিলাম।
সাইফুল উদ্দীন/এসআর/জিকেএস