দেশজুড়ে

চড় মেরে ‘স্যরি’ বলে দুঃখপ্রকাশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্রমিক নেতাকে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চড় মারার ঘটনাটি জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মীমাংসা করা হয়েছে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সভায় বিষয়টির সমাধান করা হয়। এসময় পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস শ্রমিক নেতা জাকিরকে ‘স্যরি’ বলে দুঃখপ্রকাশ করেন।

সভায় জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম, জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়াসহ বাস মালিক সমিতি, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা ও পৌরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি সমাধান করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বাস টার্মিনালের যে জায়গায় পৌরসভা মেলার জন্য বাঁশ পুঁতেছিল, তা উঠিয়ে ফেলা হবে। বাস টার্মিনালের দক্ষিণ পাশ দিয়ে মেলায় যাওয়ার রাস্তা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, চড় মারার ঘটনায় পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস শ্রমিকনেতা জাকির মিয়াকে ‘স্যরি’ বলে দুঃখপ্রকাশ করে জড়িয়ে ধরেন। এসময় ভবিষ্যতে যেন এমন কিছু না হয়, সেজন্য তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়।

জেলা বাস মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান, এবছর ভাদুঘর বাস টার্মিনাল এলাকায় বিজয় মেলার আয়োজন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা। টার্মিনালে বাস রাখার স্থানে মেলার প্যান্ডেলের বাঁশ রাখা ছিল। এতে বাস রাখতে সমস্যা হচ্ছিল। টার্মিনালের চট্টগ্রাম-ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাস শ্রমিকের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকিরের নেতৃত্বে পুঁতে রাখা বাঁশগুলো উপড়ে ফেলা হয়।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিক নেতা জাকিরকে থাপ্পড় মারেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস। পরে মহাসড়কে বাস ফেলে রেখে বিক্ষোভ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। দেড় ঘণ্টা পর ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জিকেএস