প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পরবর্তী প্রবৃদ্ধির অংশীদার হতে মালয়েশিয়ান বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বুধবার কুয়ালালামপুরে গ্র্যাান্ড হায়াত হোটেলে ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের সুযোগ বিষয়ক সংলাপ’ অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ আহবান জানান।তিনি বলেন, আপনাদের সকলকে আমি বাংলাদেশে যাওয়ার উষ্ণ আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আপনারা গিয়ে প্রকৃত বাংলাদেশ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করুন। বাংলাদেশের পরবর্তী প্রবৃদ্ধির বিকাশে নিজেদের অংশীদার করুন।শেখ হাসিনা আশা করে বলেন, মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীরা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের প্রকৃত প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ হিসেবে পুনরায় বিবেচনা করবে। কয়েক দশক ধরে আজকের আধুনিক মালয়েশিয়া গড়তে আপনাদের অনেকেই অবদান রেখেছেন। আমি বিশ্বাস করি একই সুযোগের হাতছানি বাংলাদেশেও রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমাবদ্ধতা ও নিম্নপর্যায়ের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিনিয়োগের যে সুযোগ ও প্রণোদনা দিচ্ছে তা আপনাদের সদয় বিবেচনার দাবি রাখে।শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক আরো প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করেছেন।বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও যোগাযোগ অবকাঠামোর ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এসব চ্যালেঞ্জকে সুযোগে রূপান্তরিত করতে পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতোমধ্যে বড় অঙ্কের এফডিআই রয়েছে এবং দেশের বৃহত্তর চাহিদা মেটাতে মালয়েশিয়া থেকে মানসম্পন্ন বিনিয়োগকে স্বাগত জানাতে প্রস্তত রয়েছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সক্ষম পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা জানি। ফলে ১৮টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।এ প্রেক্ষাপটে তিনি উল্লেখ করেন, সরকার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য জটিল লজিষ্টিক সুবিধা দ্রুততার সাথে সহজ করা এবং সুযোগ সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা করছে।শেখ হাসিনা বলেন, আরও বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আমরা আমাদের বৈধ কাঠামোসমূহকে আরও সহজ করার বিষয় খতিয়ে দেখছি।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- মালয়েশিয়া সাউথ সাউথ এসোসিয়েশন (এমএএসএসএ) এর প্রেসিডেন্ট আজমান হাশিম এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার একেএম আতিকুর রহমান।এছাড়া অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়া সরকারের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত এস সামি ভেল্লু, মালয়েশিয়ান স্ট্যান্ডার্ড এন্ড এক্রিডিটেশন কাউন্সিল ডাটুকের চেয়ারম্যান মুস্তাফা মনসুর, এমরেইল এসডিএন বিএইচডির নির্বাহী পরিচালক ড. অরবিন্দ হরি নারায়ণ, এক্সিসজাভা গ্রুপের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর বেন্নি হো এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগ প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বে ১৯৯১ সালে গঠিত মালয়েশিয়া সাউথ সাউথ এসোসিয়েশন (এমএএসএসএ) দক্ষিণ দক্ষিণ সরকারগুলোর সাথে বিস্তৃত বাণিজ্য নেটওয়ার্ক স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছে। -বাসস