দেশজুড়ে

সুন্দরবন থেকে অস্ত্রসহ ৩ জলদস্যু গ্রেফতার

সুন্দরবন থেকে দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ জলদস্যু নয়ন বাহিনীর তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর সোয়া ৪টার দিকে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জয়মনির ঘোল গ্রামস্থ মিরাগামারী খালের উত্তর পাড় থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রামের মৃত মকবুল ফরাজীর ছেলে মাসুম ফরাজী (৩৫), একই গ্রামের আব্দুস কবিরাজের ছেলে মো. হাছান কবিরাজ (৩০) এবং বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ারী গ্রামের মৃত আমির হোসেন হাওলাদারের ছেলে আলমগীর হোসেন হাওলাদার (৫০)।

দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, সম্প্রতি সুন্দরবন থেকে মাছ ধরার সময় কিছু জেলেদের অপহরণ করে বনদস্যুরা। কৌশলে জেলেদের উদ্ধার করলেও, বনদস্যুরা অধরা থাকে। কিন্তু পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল। এর ধারাবাহিকতায় মিরাগামারী খালের উত্তর পাড় থেকে অস্ত্রসহ তিন বনদস্যুকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।

পুলিশ সুপার আরিফুল আরও বলেন, অভিযানে দস্যুদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি একনালা বন্দুক, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, কাঠের বাটসহ দুটি রামদা, দুটি লোহার রড, একটি কাঠের পুরাতন ডিঙ্গি নৌকা, দুটি টর্চ লাইট জব্দ করা হয়।

এরা সবাই এক সময় সুন্দরবনে জেলে হিসেবে মাছ আহরণ করতেন। কিন্তু হঠাৎ করে তারা দস্যুতা বৃত্তিতে লিপ্ত হন। নিজেদের নয়ন বাহিনীর লোক বলে পরিচয় দিয়েছেন। মাছুম ফরাজী নয়ন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন অপরাধে আগের তিনটি মামলা আছে। এছাড়া সুন্দরবনের দস্যুতার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।

১৫ ডিসেম্বর বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বেড়ির খাল ও হরমল খাল থেকে ১১ জেলেকে অপহরণ করেন দস্যুরা। পরে জেলে প্রতি ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। ২১ ডিসেম্বর অপহৃত ১১ জেলেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এসজে/এএসএম