দেশজুড়ে

চুয়াডাঙ্গায় কারামুক্ত হলেন বিএনপি-ছাত্রদলের ৭ নেতা

চুয়াডাঙ্গায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফসহ সাত নেতা জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন তারা।

জামিন পাওয়া অপর নেতারা হলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু বকর সিদ্দিক আবু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল হক রোকন, জেলা ছাত্রদলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কৌশিক আহমেদ রানা ও সদস্য আরমান খান ও আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ।

সদ্য কারামুক্ত জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বলেন, কারাবন্দি করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন রোধ করা যাবে না। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন চলতেই থাকবে। বিএনপির ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে চলমান আন্দোলন আরও বেগবান হবে।

এদিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফের কারাগার থেকে বের হওয়ার খবরে নেতাকর্মীরা জেলগেটে জমায়েত হন। কয়েকশ মোটরসাইকেল, মাইক্রো, প্রাইভেটকারে নেতাকর্মীরা শোডাউন দিয়ে নেতাকে মুক্তি পাড়াস্থ বাসায় পৌঁছে দেন। শরীফুজ্জামান শরীফ একটি ছাদ খোলা মাইক্রোতে দাঁড়িয়ে সবাইকে অভিবাদন জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান লিপ্টন, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল জব্বার বাবলুসহ আরও অনেকে।।

২৪ ডিসেম্বর বিএনপির গণমিছিলের কর্মসূচি শুরুর আগেই জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফসহ অঙ্গসংগঠনের আট নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরমধ্যে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ মো. রাজীব খান আগাম জামিনে থাকায় পরদিন তিনি মুক্তি পান।

এসজে/এমএস