জাতীয়

মার্সারের জরিপ : ১০ ধাপ পিছিয়েছে ঢাকা

জীবন-যাপনের মানের দিক দিয়ে বিশ্বের বসবাসযোগ্য ২৩০টি শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকার অবনমন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মার্সারের ‘এইটিনথ কোয়ালিটি অব লাইফ র্যাংকিং’ শীর্ষক জরিপে ঢাকা ১০ ধাপ পিছিয়ে ২১৪তম অবস্থানে রয়েছে। এর আগের বছর ঢাকার অবস্থান ছিল ২০৪তম।মঙ্গলবার মার্সারের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে এ বছরও জীবন-যাপনের মানের দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। আর এ তালিকায় সবার নিচে রয়েছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ। সামাজিক ও আর্থিক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসনসহ পরিবেশ বিবেচনা করে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকা তৈরি করেছে মার্সার। এছাড়া এসব শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মীদের কী পরিমাণ মজুরি দেওয়া হয় সে বিষয়গুলোও এতে বিবেচনা করা হয়েছে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরে এই জরিপের তথ্য সংগ্রহ করেছে মার্সার। জরিপে শহরের ৩৯টি বিষয়কে ১০টি শ্রেণিতে বিভক্ত করে জীবনমানের মূল্যায়ন করা হয়েছে। বিশ্বের ৪৪০টি শহরের তথ্য সংগ্রহ করে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। পরে ২৩০টি শহর নিয়ে মূল তালিকা প্রকাশ করে মার্সার। জরিপে বরাবরের মতো সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহর নির্বাচিত হয়েছে ভিয়েনা। এ তালিকার শীর্ষ ৩৫ শহরেও নেই নিউ ইয়র্ক, প্যারিস এবং লণ্ডনের মতো শহর।তবে বসবাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহরে জার্মানির একাধিক শহরের নাম উঠে এসেছে। ভিয়েনার পরপরই রয়েছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহর। এর পরই রয়েছে জার্মানির মিউনিখ, ডুসেলডর্ফ এবং ফ্রাংকফুর্ট। এছাড়া ইউরোপের বাইরের দুটি শহর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি এবং ভ্যানকুভারও শীর্ষ দশে রয়েছে।এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের অবস্থান ২৬তম হলেও ঢাকার অবস্থান এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একেবারেই তলানিতে ২১৪তম। কুয়ালালামপুর (৮৬), ব্যাংকক (১২৯), ম্যানিলা (১৩৬), জাকার্তা (১৪২)। এশিয়ার পূর্বাঞ্চল জাপানের রাজধানী টোকিও ৪৪তম, হংকং (৭০), তাইপে (৮৪), সাংহাই (১০১) এবং বেইজিং ১১৮তম অবস্থানে রয়েছে।  এসআইএস/এবিএস