দেশজুড়ে

হবিগঞ্জে ১৫৬ বস্তা ভেজাল টিএসপি ও জিপসাম সার জব্দ

হবিগঞ্জ শহরের খাদ্যগুদাম রোড এলাকার একটি দোকান থেকে ১৫৬ বস্তা ভেজাল টিএসপি ও জিপসাম সার জব্দ করা হয়েছে। এ সময় দোকানের মালিকের ছেলেকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন ও ভোক্তাধিকারের যৌথ অভিযানে এসব ভেজাল সার জব্দ করা হয়। বুধবার আটক নয়ন চন্দ্র রায়কে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শোয়েব শাত-ইল ইভান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি বিএডিসির বস্তায় প্যাকেট করে এসব ভেজাল সার দীর্ঘদিন ধরে বাজারজাত করে আসছিলেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী কাজল রায়। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, ভোক্তা অধিকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আটক নয়ন রায়কে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ পৌর এলাকার উমেদনগরের বাসিন্দা কাজল চন্দ্র রায় শহরের খাদ্য গুদাম রোডে ‘মেসার্স তিলোত্তমা এগ্রো সার্ভিস’ নামে দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল সার ও কীটনাশকের ব্যবসা করে আসছেন। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে তার দোকান থেকে ১০ বস্তা ভেজাল টিএসপি কিশোরগঞ্জের বাজুকা বাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে শহরের নতুন খোয়াই মুখ এলাকার পৌর নৌকাঘাট থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আটক করেন।

তারা বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অফিসকে অবগত করেন। খবর পেয়ে বিকেলে জেলা প্রশাসনের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শোয়েব শাত-ইল ইভান ও ভোক্তাধিকার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা সেখানে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় আটককৃত ১০ বস্তা টিএসপি সার ভেজাল হিসেবে প্রমাণিত হয়। পরে কাজল চন্দ্র রায়ের গরুর বাজারের গুদামে অভিযান পরিচালনা করে আরও ১৪৬ বস্তা ভেজাল জিপসাম সার জব্দ করা হয়। এ সময় তার গুদামে থাই মুক্তা জিপসাম নামে খালি প্যাকেট উদ্ধার করা হয় এবং কাজল রায়ের ছেলে নয়ন চন্দ্র রায়কে আটক করা হয়।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এফএ/জেআইএম