ঠাকুরগাঁওয়ে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালাতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন ভাসুর জাকির হোসেন।
Advertisement
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ভোরে সদর উপজেলার ভূল্লী থানার ১৫ নম্বর দেবীপুর ইউনিয়নের মুজার্বনী হাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী লতাপাড়া গ্রামের ফইমউদ্দীনের ছেলে জুতা ব্যবসায়ী সেলিমের সঙ্গে দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয় ওই নারীর। বিয়ের পর প্রায় এক বছর ভালোভাবেই সংসার করেছেন। তবে ছয়মাস ধরে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এ সুযোগে বিভিন্নভাবে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকে জাকির। এতে করে তিনমাস আগে জাকিরের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরেন তিনি।
আরও পড়ুন: গৃহবধূকে হত্যা, দুই পরকীয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন
Advertisement
এরপর জাকিরের কথা মতো সেলিমকে তালাক দেন ওই নারী। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবার ভোরে দেবীপুরের বাবার বাড়ি থেকে ভাসুরের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে।
ওই নারীর বাবা বলেন, পারিবারিকভাবে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছিলাম। জামাই অনেক ভালো মানুষ। তার বড় ভাই একজন লম্পট। আমার মেয়ে তার রোষানলে পড়েছে। তারা আমার মেয়েকে পাচারের উদ্দেশ্যে প্রেমের নাটক সাজিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার ছেলেকে খুন, ১১ বছর পর র্যাবের জালে আসামি
ওই নারী বলেন, আমার ভাসুর প্রায় আমাকে ফোন দিত। ভালোমন্দ কথার বলার একপর্যায়ে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। আমি প্রথমে রাজি না হলেও একসময় রাজি হই। তার কথামতই আমার স্বামীকে আমি তালাক দিয়েছি।
Advertisement
অভিযোগ স্বীকার করে জাকির হোসেন বলেন, আপন ছোট ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে এমন করা আমার ঠিক হয়নি। শয়তান আমার মাথা নষ্ট করে দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সইমদ্দীন বলেন, এ বিষয়ে এর আগে ঝামেলা হয়েছিল। আমরা পারিবারিকভাবে সমাধান করে দিয়েছি। মেয়ের ভাসুর জাকির হোসেন একজন লম্পট প্রকৃতির ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: মায়ের পরকীয়া প্রেমিকের লাঠির আঘাতে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
এ বিষয়ে ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম আতিকুর রহমান বলেন, আপন ভাসুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ের ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তানভীর হাসান তানু/জেএস/এএসএম