জনপ্রতি একটি চৌকি ও ফ্যান বরাদ্দ নিয়েই নবনির্মিত ১০ তলাবিশিষ্ট আবাসিক হলে উঠলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৮০০ ছাত্র। এছাড়া হলে চালু হয়নি লিফট, নেই ডাইনিং বা ক্যানটিনে খাবারের ব্যবস্থাও।
Advertisement
অথচ প্রায় দুই বছর ধরে হল উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণাসহ মানসম্মত ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে প্রশাসন।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) জাবির নবনির্মিত ২১ নম্বর হল ছাত্রদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। আসন পাননি এমন শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এ হলে আসন বরাদ্দ পান তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যাগ, কম্বল, বালিশসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ছাত্ররা। হলে প্রতি চারজন ছাত্রের জন্য একটি করে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কক্ষপ্রতি চারটি চৌকি, দুটি টিউবলাইট এবং চারটি ফ্যান। কোনো কক্ষেই চেয়ার-টেবিল, লকার দেওয়া হয়নি। হলে নিজস্ব ডাইনিং-ক্যানটিন ব্যবস্থা এখনো চালু হয়নি। এমনকি নেই কোনো সচল লিফটও।
Advertisement
হলটির সাত তলায় আসন বরাদ্দ পেয়েছেন জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ। তিনি বলেন, নতুন হলে আসন পাওয়ায় আমি অনেক খুশি। তবে প্রতি রুমে কেবল চারটি বেড এবং ফ্যান ছাড়া কিছুই দেওয়া হয়নি। ফ্যানগুলোতে এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। আমাদের পড়াশোনার জন্য কোনো চেয়ার-টেবিলের ব্যবস্থা নেই। জিনিসপত্র রাখার জন্য লকারও নেই। এত বড় ভবনে এখনো লিফট চালু হয়নি। খাবারের কোনো ব্যবস্থা নেই। আশপাশের খাবার দোকান বেশ দূরে।
তিনি বলেন, আমার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। এত সমস্যা নিয়ে ছাত্ররা পড়াশুনা করবে কীভাবে?
হল প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক মো. তাজউদ্দিন সিকদার বলেন, হলটি কেবল চালু হওয়ায় কিছু সংকট আছে। ডাইনিং-ক্যানটিন থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে অন্য সমস্যা সমাধান করা হবে। জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। তারা হয়তো আগামী মাস বা তার পরের মাসে যোগদান করবেন। আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য হলের ৩৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এখানে কাজ করছেন।
সার্বিক বিষয়ে প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, চেয়ার-টেবিলের জন্য আমাদের নতুন করে টেন্ডার দিতে হবে। প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা পাঁচ মাসের মধ্যে চেয়ার-টেবিল ও লকার পাবে বলে আশা করছি।
Advertisement
লিফট, ক্যান্টিন, লকারসহ একাধিক সংকট নিয়েই শনিবার (২৮ জানুয়ারি) একইভাবে নতুন হলে ওঠেন জাবির ৯০০ ছাত্রী।
মাহবুব সরদার/এমআরআর/জিকেএস