দেশজুড়ে

দেড় বছরে ফেনীতে ২৬২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

দেড় বছরে ফেনীতে ২৬২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

ফেনীতে ভূমি রেজিস্ট্রি খাত থেকে দেড় বছরে ২৬২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। সরকারের অনলাইন সেবার কারণে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায় বেড়েছে।

Advertisement

জেলা রেজিস্ট্রার অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার সদর, লেমুয়া, মতিগঞ্জ, দাগনভূঞা, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ছাপ কবলা, দানপত্র, হেবা, বিল, এওজ, এওজ বিনিময়, না দাবি পত্র, বণ্টন, নির্দেশপত্র, খাস মোক্তারনামা, চুক্তিপত্র, পার্টনার ডিড, পাওয়ার রহিতকরণ, ভুল সংশোধন, ঘোষণাপত্র ইত্যাদি দলিল রেজিস্ট্রির মাধ্যমে এ রাজস্ব আয় হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাজস্ব বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ এনবিআর

জেলার সাত সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে গত অর্থ বছরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এ খাত থেকে ৩৬ হাজার ৬৯৪ দলিলের মাধ্যমে ১২২ কোটি ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৪৩৫ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। গত জুলাই ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত এ ৬ মাসে ২২ হাজার ২৯৬ দলিলে ১৪০ কোটি ৩৮ লাখ ১ হাজার ১৪৪ টাকাসহ সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে।

Advertisement

শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, ভূমি অফিস (তহশিল অফিসগুলোতে) অনেক সময় ভূমির দাখিলার ক্ষেত্রে ১০ টাকার দাখিলা ১০০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত মালিকদের থেকে আদায় করা হয়। অতিরিক্ত দাখিলা ফির কারণে মানুষ ভূমি রেজিস্ট্রির কাজ থেকে বিরত থাকে। এক্ষেত্রে ভূমির দাখিলার সহজলভ্যতা ও হয়রানিমুক্ত হলে মানুষ ভূমি রেজিস্ট্রির দিকে আগ্রহী হবে।

সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সূত্র জানায়, সরকারের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস হলো ভূমি রাজস্ব কর, যা ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমি অফিস বা তহসিল অফিস, উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে সরকারি এ রাজস্ব আয় হয়। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে বর্তমান সরকারের সময়ে কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে সরকারের এ খাত থেকে রাজস্ব আদায় অনেকগুণ বেড়ে গেছে।

আরও পড়ুন: এবারও বাড়ছে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা, প্রণোদনায় বাড়তি নজর

অনলাইন সিস্টেমের কারণে হয়রানি অনেক কমেছে। অন্যদিকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বেড়ে গেছে। অনলাইনে ভূমির দাখিলা, খতিয়ান, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) এর ব্যবহার দলিলপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কারণে এ সব অফিসগুলোতে অনেকাংশে স্বচ্ছতা এসেছে। ফলে জনগণকে প্রতারণার মাধ্যমে ভূমি রেজিস্ট্রির পথও বন্ধ হয়ে গেছে।

Advertisement

সোনাগাজী উপজেলা মতিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার মো. আকরাম হোসাইন রিয়াদ জানান, সরকারের রেজিস্ট্রি খরচ, উৎসকর, স্থানীয় সরকার কর, ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদের করগুলো সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা হওয়ায় রাজস্ব আদায় বেড়ে গেছে।

এ বিষয়ে ফেনী জেলা রেজিস্ট্রার মো. সেলিম হাওলাদার জানান, জেলা সমন্বয় সভায় রাজস্ব আয় বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় জেলায় কিভাবে রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত কাজ সহজতর করা যায় ও এ খাত থেকে কিভাবে রাজস্ব আয় বাড়ানো যায় সে দিকে সবসময় নজর দেওয়া হয়।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/আরএইচ/জেআইএম