খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক ড. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছিল ঢাবি প্রশাসন। সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
Advertisement
এর পাশাপাশি জারি করা রুল দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ড. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহর আইনজীবী আহসানুল করিম জানিয়েছেন, এর ফলে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৫ সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
Advertisement
আরও পড়ুন: রহমত উল্লাহর পক্ষে বিভাগীয় সভায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের অভিযোগ
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। তাদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আনিস।
এর আগে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৮ জুন বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ ঢাবির সিদ্ধান্ত স্থগিত করে ওই আদেশ দিয়েছিলেন। তবে এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাবি কর্তৃপক্ষ আবেদন করলে চেম্বার আদালত আপিল বিভাগে শুনানির দিন ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: মোশতাককে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতির ‘শ্রদ্ধা’, পরে প্রত্যাহার
Advertisement
গত বছরের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে টিএসসি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল ঢাবি প্রশাসন। সেখানে অধ্যাপক মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে খন্দকার মোশতাকের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানোর পর খন্দকার মোশতাকের প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেও বক্তব্য রাখেন তিনি।
মো. রহমত উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। নীল দলের প্যানেল থেকে তিনি শিক্ষক সমিতির সভাপতি হয়েছিলন। এর আগে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন আইন অনুষদের ডিন।
এফএইচ/এমএইচআর/এএসএম