পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
Advertisement
বীরভূম জেলা সফরে গিয়ে সবাইকে অবাক করে দেওয়ার মতো কাজ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বুধবার (১ জানুয়ারি) বীরভূমে সভা শেষ করে কলকাতা ফেরার পথে হঠাৎ করেই সোনাঝুরি গ্রামের এটি চায়ের টঙে ঢোকেন তিনি। সেখানে নিজ হাতেই চা বানিয়ে নিজে খান, অন্যদেরও খাওয়ান। এ সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরাহাদ হাকিম।
জানা যায়, মূলত চা খাওয়ার উদ্দেশ্যেই ওই টঙে গিয়েছিলেন মমতা। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তার সঙ্গে থাকা অনেক মানুষ দেখে ঘাবড়ে যান নারী চা বিক্রেতা। সেটি বুঝতে পেরে তরুণীর কাছ থেকে চা, চিনি আর দুধ চেয়ে নিয়ে চা বানিয়ে খান মুখ্যমন্ত্রী। পরে চা পরিবেশনে মমতা ব্যানার্জীকে সাহায্য করেন দোকান মালিক।
সোনাঝুরির ওই টঙে চা বানাতে বানাতেই দোকান মালিক, তার পরিবার ও আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের খোঁজ নেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর এমন কাণ্ডে তাজ্জব বনে যান তারা। একপর্যায়ে নারী দোকানিকে জিজ্ঞেস করেন, তোমরা রেশন পাও? তোমাদের ঘর কোথায়? শিশুরা পড়াশোনা করে তো? একে একে মুখ্যমন্ত্রীর সব প্রশ্নের উত্তর দেন দোকানি।
Advertisement
চলে আসার আগে চায়ের বিল মেটাতে ভুল করেননি মমতা, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলে কথা। শেষে দোকানিকে জিজ্ঞেস করেন, কত হলো? এই ওকে ১০০ কাপ চায়ের পয়সা দাও। এই বলে মমতা ওই দোকানিকে বলেন, তোমার ঘর দেখাও, দেখি কোথায় থাকো। তারপর নিজেই পর্দা সরিয়ে মাটির ঘরের ভেতরটা দেখে নেন।
চলে আসার সময় মমতা ব্যানার্জীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন চা বিক্রেতা। এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে রীতিমতো আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সোনাঝুরি ও আশপাশ এলাকার মানুষ।
এসএএইচ
Advertisement