শ্লীলতাহানির অভিযোগে এরই মধ্যে কারাবাস করছেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা দানি আলভেজ। ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলারকে শুধু কারাগারে থাকাই নয়, সেখানে বসে শুনতে হচ্ছে একের পর এক দুঃসংবাদ।
Advertisement
এক নারীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠার পর শুরুতে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন স্ত্রী জোয়ানা সানজ। কিন্তু এখন তিনি আর নিজের সিদ্ধান্তে অটল নেই। বরং, দানি আলভেজের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করার সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেছেন তিনি। এরই মধ্যে বিচ্ছেদের কথা জানিয়ে কারাগারে থাকা আলভেজকে ফোনে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন আলভেজ।
স্পেনের প্রথম সারির এক সংবাদপত্রে প্রথম প্রকাশ্যে আসে দানি আলভেজের কুকীর্তির কথা। জানানো হয়, গত ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতে বার্সেলোনার সাটন নামে এক নাইটক্লাবে ঘটনাটি ঘটে। সেলিব্রেটি ও বিত্তশালীদের আড্ডা হিসেবে এই নাইটক্লাব বেশ পরিচিত। সেখানেই এক তরুণীর সঙ্গে দানি অসভ্যতা করেন বলে অভিযোগ।
ওই তরুণী দাবি করেন, ‘নাইটক্লাবে হঠাৎই দানি তাকে বিনা অনুমতিতে স্পর্শ করেন। এমনকি তার হাত নিজের অন্তর্বাসের মধ্যেও ঢুকিয়ে দেন আলভেজ।’
Advertisement
এরপরই বন্ধুদের পাশাপাশি নাইটক্লাবের নিরাপত্তারক্ষীদের বিষয়টি জানান ওই তরুণী। নাইটক্লাব কর্তৃপক্ষের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে তার আগেই দানি আলভেজ সেখান থেকে চলে যান। পরে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সেই তরুণী। তার ভিত্তিতেই গত ২০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় দানিকে।
প্রথমদিকে এই ঘটনায় স্বামীর পাশে থাকলেও ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়ে জোয়ানার। জেলে দানির সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। কিন্তু দানি তার সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি। এরপরই পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন জোয়ানা।
এমনকি সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে আলভেজের সঙ্গে নিজের প্রায় সব ছবিই মুছে ফেলেছেন জোয়ানা। যদিও দানির সঙ্গে নিজের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজে কিছু বলছেন না। তবে মার্কা জানিয়েছে, এ নিয়ে ফোনে দানির সঙ্গে কথাও বলেছেন এবং বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন।
জোয়ানার ম্যানেজারকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এ প্রসঙ্গে আপাতত কিছু বলতে রাজি নন জোয়ানা। তবে নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জোয়ানা লিখেছেন, ‘যখন খবর পাওয়া যায় না, তখন তো খবর তৈরিই করতে হয়।’
Advertisement
এদিকে দানি আলভেজের সর্বশেষ ক্লাব ছিল পুমাস। মেক্সিকান এই ক্লাবটি এখন মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করছে দানি আলভেজের কাছে। কারণ, তারা দাবি করছে- আলভেজের সঙ্গে যে চুক্তি করা হয়েছিলো, সে চুক্তি লঙ্ঘণ করেছেন ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলার। যে কারণে ক্লাবটির সুনামও ক্ষুণ্ন হয়েছে।
দানির কাছে পুমাস যে মেইল পাঠিয়েছে সেটা এরই মধ্যে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়ে পড়ে। সেখানেই তারা চুক্তির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ এনে মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আলভেজের কাছে।
আইএইচএস/