মশার কামড়ে অতিষ্ঠ নওগাঁ পৌর এলাকার বাসিন্দারা। মশা নিধনের কোন পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে দিন দিন বেড়েই চলেছে মশার উৎপাত। এতে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন পৌরবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নাগরিক জীবন। বাসা-বাড়ি, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না কেউই। মশার কয়েল, স্প্রে সব কিছুই মশার কাছে হার মানছে। পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে মশা নিধনের জন্য ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। এর মধ্যে ৪০ হাজার খরচ করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরেও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। কিন্তু মশা নিধনের জন্য চারটি ফগার মেশিন এখনো অচল। পৌরসভার নালা নর্দমায় অপরিষ্কার পানি জমে থাকা, নিয়মিত পরিষ্কার না করা এবং যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে মশা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পৌরবাসী। এছাড়া পৌরসভার প্রায় সব এলাকায় সড়কের পাশের অধিকাংশ স্থানে নালার ঢাকনা না থাকায় মশার বিস্তার চরম আকার ধারণ করেছে বলে মনে করেন তারা। শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা রাহী জানান, শীত মৌসুমে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ নালা-নর্দমাগুলোতে মশক নিধন স্প্রে না করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। নিয়মিত মশা নিধনকরী ওষধ প্রয়োগ করা হলে হয়তো পৌরবাসী এ দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। বাঙ্গাঁবাড়ীয়া মহল্লার বাসিন্দা গৃহিনী আসমা খাতুন বলেন, মশার বংশ বিস্তার রোধে ওষুধ ছিটানোর কথা থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষের ওষধ ছিটানোর কোন খবর নেই। সম্প্রতি এ শহরে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেলেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এসএসসি পরীক্ষার্থী আলামিন, তৌফিক, শাওন ও সৌরভ জানান, এতো মশা যে কয়েল দিলেও কাজ হয় না। মশার গুণগুণ শব্দে এবং কামড়ে ভীষণ বিরক্ত লাগে। পড়াশুনাও ঠিকমতে করতে পারছি না। এবিষয়ে পৌর মেয়র নজমুল হক সনি জানান, আমাদের যে পরিমাণ বরাদ্দ আছে, সেটি খুবই অপর্যাপ্ত। পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় পুরোপুরিভাবে মশা নিধনের পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না। তারপরেও পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে মশা নিধন কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছি। তবে ফগার মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় খুব সমস্যা হয়েছে। মেশিনগুলো ঠিক করে কয়েক দিনের মধ্যেই পৌরসভায় মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।আব্বাস আলী/ এসকেডি